বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে আমিষের যোগান আসে। যার একটি বড় অংশ আসে সমুদ্র থেকে। আর সেই সমুদ্র অর্থনীতি থেকে লাভবান হতে হলে থাকতে হবে গভীর সমুদ্র বন্দর। কিন্তু চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা বন্দরের গভীরতা না থাকায় ভিড়তে পারছে না মাদার ভেসেল। তাই নির্মাণাধীন মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরই একমাত্র ভরসা।
বিশ্ব অর্থনীতির অনেকটাই সমুদ্র নির্ভর। প্রায় সাড়ে সাতশ কোটির বেশি মানুষের ১৫ শতাংশের আমিষের জোগান আসে সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ আর জীবজন্তু থেকে। বিশ্বের মোট চাহিদার ৩০ ভাগ জ্বালানির সরবরাহও আসে সমুদ্র তলদেশ থেকে। এ খাত থেকে আসে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির ৪৪ বিলিয়ন ডলার। তবে সব দেশের অবস্থা এক নয়।
সমুদ্র সম্পদ আহরণ করতে গিয়ে, মুখোমুখি অবস্থানে অনেক দেশ। সংঘাতময় এ সামাল দিতে কাজ করছে সমুদ্র তলদেশ বিষয়ক আর্ন্তজাতিক কর্তৃপক্ষ। প্রথমবারের মতো এ সংস্থাটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে কোনো বাংলাদেশি। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক ইউনিটের সচিবের দায়িত্বে আছেন তিনি।
রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশিদ আলমের মতে, সমুদ্র অর্থনীতির সুবিধা নিতে প্রয়োজন গভীর সমুদ্র বন্দর। মাতারবাড়ি ছাড়া অন্য বন্দরগুলোর তেমন সম্ভাবনা নেই।
নিজেদের সমুদ্র সীমার বাইরে পৃথিবী যেকোন দেশ যদি সম্পদ আহরণ করতে চায়, সেজন্য একটি লাইসেন্স কিনতে হয় হয়। যার মূল্য ৫০ কোটি ডলার। তবে এখনই তা নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ। গুরুত্ব দিচ্ছে নিজস্ব দক্ষতা বাড়ানোর দিকে।