পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করা কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে যার যার অবস্থানে থেকে এগিয়ে আসতে হবে প্রত্যেককেই ।
গতকাল শনিবার ( ৪ জানুয়ারী ২০২০ ) সন্ধ্যায় চ্যানেল আই চেতনা চত্বরে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন – চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, নিবিড় সবুজের এই দেশ মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে আজ বিভিন্নভাবে ধীরে ধীরে তার সজীবতা হারিয়ে মলিন হয়ে পড়েছে। প্রকৃতি ও জীবনের সুস্থতার জন্য মলিন প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মো. শাহাব উদ্দিন জানান, সরকার এরইমধ্যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসাবে বর্তমান সরকার পরিবেশের ক্ষতি না করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানোর নীতি গ্রহণ করেছে। দেশে শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলেও দেশীয় পরিস্থিতিতে পরিবেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে দিকে রাখা হচ্ছে সতর্ক দৃষ্টি ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বনজসম্পদ উন্নয়ন ও সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর জন্য বাস উপযোগী টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে চেষ্টায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কাজ করে চলেছে নিরলসভাবে ।
এসময়, ইটভাটা, শিল্প কারখানা ও যানবাহনের মালিকদের পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করার আহ্বান জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীবনের বন্ধন অটুট রাখায় বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্যা প্যারালাইজড (সি.আর.পি) এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি এ. টেইলর কে প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০১৯ প্রদানে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি সুদুর ইংল্যান্ড থেকে এদেশে এসে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের সেবা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই মহিয়সী নারীর মতো বাংলার ১৬ কোটি মানুষ যদি প্রকৃতি সংরক্ষণে সচেতন হতো তবে আমরা সেই সবুজ শ্যামল বাংলা ফিরে পেতাম।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী; প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.কে.এম রফিক আহাম্মদ; ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ফরিদুর রেজা সাগর।