পৌষের শুরু থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ে জেঁকে বসেছে শীত।টানা শৈত্যপ্রবাহে সকল বেলায় ঘনকুয়াশায় মাঠঘাট ঢাকা থাকে। ফলে আকাশে মেঘ না থাকলে কখনো সূর্যের আলো মাঠে পৌঁছায় আবার কখনো মেঘ থাকলে সূর্যের আলো মাঠে পৌঁছায় না। এতে ফসলের ক্ষেতে খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছে।তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলেছেন, শীত আর ঘনকুয়াশায় বোরো বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত পরিচর্চার সাথে বাড়তি খরচ করে সার ও সেচ ব্যবস্থাসহ পলিথিন দিয়ে ঢেকেও বীজতলা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা। হালচাষের পর জমি প্রস্তুত থাকলেও চারা বড় না হওয়ায় তা রোপন করা যাচ্ছেনা।সাধারণত এক বিঘা জমিতে ধান আবাদ করতে কৃষকের খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। সেখানে বীজতলা নষ্টের কারণে এবার খরচ গুণতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এতে কৃষকদের লোকসান হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আফতাব হোসেন জানান, শীতের তীব্রতা থেকে বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবার ঠাকুরগাঁওয়ে ৬২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ৩ হাজার ১শ ৭৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।