একটি ঐতিহাসিক ঘটনা! প্রথমবারের মতো লেন্সবন্দি ব্ল্যাক হোলের চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্র।
ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দু’বছর আগের কথা? গোটা বিশ্বের সকল মহাকাশপ্রেমীরা সেদিন মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখেছিলেন ব্ল্যাক হোলের অতিকায় শরীরের প্রথম ছবি যা ছিলো সত্যি একটি বিষ্ময়কর ও ঐতিহাসিক ব্যাপার।
সেই সময়ই প্রথমবার কোনও ব্ল্যাক হোল (Black Hole) তথা কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি নিখুত ভাবে তোলা সম্ভব হয়েছিল। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ও অবিস্মরনীয় অধ্যায় ছিল সেটি। এবার রচিত হল নতুন ইতিহাস তবে সেটি পূর্বের ছবির বিস্তারিত আভাস।
প্রথমবারের জন্য ব্ল্যাক হোল (Black Hole) এর চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের ছবি তুলতে সফল হল ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপটি।
সাড়ে ৫ কোটি আলোকবর্ষ দূরে M-87 গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত বিরাট রাক্ষুসী ও সর্বগ্রাসী ব্ল্যাক হোল দানবটি। এর আগে এই ব্ল্যাক হোলটিরই ছবি তোলা হয়েছিল। এবার তার চারপাশের কিনারে চৌম্বক ক্ষেত্রের বিস্তারিত হদিশ মিলল।
যা ব্ল্যাক হোল সংক্রান্ত গবেষণায় নয়া দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এতদিন পর্যন্ত ব্ল্যাক হোলের উপরে চৌম্বক ক্ষেত্রের কী প্রভাব সে ব্যাপারটা ধারণা করা হলেও বস্তুত সকলের অজানাই রয়ে গিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এই নতুন পর্যবেক্ষণ থেকে নতুন কোনও দিশা বেরিয়ে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে জনপ্রিয় ও অধিক পঠিত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল’-এ অতি গুরুত্ব সহকারে।
ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপটি নিয়ে কাজ করছেন এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ৩শো এরও বেশি গবেষক। এটি আসলে পৃথিবীর আট প্রান্তের আটটি বিভিন্ন রেডিও টেলিস্কোপের সমষ্টি।
আপাতত সেই টেলিস্কোপ যে ছবি তুলেছে তা থেকে বোঝা গিয়েছে, এই চৌম্বক ক্ষেত্র একান্তই মাঝারি মানের। তা খুব দুর্বল যেমন নয়, তেমনই খুব শক্তিশালীও বলা যাবে না একে।
আপাতত সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে দেখে বিষয়টি বুঝে নিতে চাইবেন বিজ্ঞানীরা। যা আগামিদিনে মহাকাশের এই অনন্ত বিস্ময়কে বুঝতে আরও অনেক সাহায্য করবে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন