প্রতি বছরই ভাঙ্গছে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া, চর ঘাশিয়া ও চরলক্ষ্মী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদী। ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত এক মাসে প্রায় ২’শ বসতঘর ও ৪টি মাছের আড়ৎ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙ্গনে চরাঞ্চলের লোকজন প্রতিনিয়ত ভিটেমাটি হারানোর ভয়ে আতঙ্কের মাঝে বসবাস করছে। অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে ফসলি ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গৃহহারা এ মানুষগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এ বছর বর্ষা ও টানা বর্ষণে কয়েক শতাধিক একর ফসলি জমি, বাগান, ও কয়েক’শ বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভূমিহীন হয়েছে প্রায় ৩০০ পরিবার। মেঘনার ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে নদীর দুই পাড়ের বিস্তীর্ণ জনপদ ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি।
চরাঞ্চলের হাবিব গাজী, সৈয়দ চকিদার, রহুল আমি মেম্বার ও হুমায়ন প্রধানিয়ার মাছের আড়ৎসহ বেশ কয়েকটি দোকান মেঘনার ভাঙ্গনে চিরতরে তলিয়ে যায়। এছাড়া অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়।
ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব। কোথাও জায়গা না পেয়ে বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ মিন্টু ফরাজী জানান, ‘চরকাছিয়া ও চরলক্ষ্মী গ্রামের নুর মোহাম্মদ, নাজিম উদ্দীন মাঝি, মোস্তফা বেপারী, রশিদ হাওলাদার, কালু বেপারী, বাবুল গাইন, মাইনুদ্দিন, কাউছার, শাহ্-আলম বেপারীসহ ১০০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি গত এক সপ্তাহে নদীতে তলিয়ে গেছে।
বর্তমানে ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে খাজা হাওলাদার, দুলাল মোল্যা, রোজেন, ইসমাঈল, ইমাম হোসেন সহ ৮০টি পরিবারের বসতভিটা। ভূমিহীন হয়েছে কমপক্ষে ৩০০টি পরিবার। এখন হুমকিতে আছে আরও সমপরিমান পরিবার।
স্থানীয় সাংসদ ও সরকারের অনেক কর্মকর্তা সরেজমিন নদী ভাঙ্গনের চিত্র দেখেছেন। কিন্তুু ভাঙ্গনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়নি’।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন