মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আকাশ পথে হেলিকপ্টারে নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তিনি আজ বুধবার সরেজমিনে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিদর্শনকালে চাঁদপুরের মোহনপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের ঠিকানা হবে জেলখানা। জেলেদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিজিএফ সহায়তা করা হবে। অতীতের চেয়ে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।
ইলিশের উৎপাদন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন এমন জায়গায় নিয়ে যাবো যেখানে প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইলিশ খেয়েও রফতানির মাধ্যমে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।
মা ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিদর্শনকালে সচিব রওনক মাহমুদ, নৌ পুলিশ প্রধান আতিকুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আজ মা ইলিশ সংরক্ষণে কীর্তনখোলা নদীতে প্রশাসনের মহড়া দেখা গেছে। বরিশালে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।

উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ পুলিশ এবং কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ২২ দিনের প্রজননকালীন সময়ে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, মৎস্য অফিস ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে বিভিন্ন নদী ও বাজারে অভিযান চালাবে। এ সময় ইলিশ ধরা, সংরক্ষণ, বাজারজাত এবং ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কারোর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল জরিমানা করা হবে।
ইলিশ ধরা বন্ধের দিনগুলোতে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত জেলেদের সহায়তা সবার দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা মৎস্য জেলা কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, বুধবার শুরু হওয়া মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এ সময় ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে মহড়া চালায় প্রশাসন।