ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের একটি পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত মহাবিপন্ন সেই কচ্ছপটি মারা গেল। উদ্ধারকৃত কচ্ছপটি ৪০ কেজি ওজনের ছিলো। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দিনাজপুর সহকারি বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা।
ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে উদ্ধারকৃত কাছিমটি আগে কখনো দেখা যায়নি। সেই এলাকায় এই প্রজাতির আরও কাছিম থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাছিমটি পাওয়ার সুবাদে হয় এই প্রজাতিটি সংরক্ষণে হয়তো নতুন পথ দেখাবে’
বৃহস্পতিবার (১৪ মে ২০২০) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে দিনাজপুর রামসাগর চিড়িয়াখানায় থাকা কচ্ছপটির মৃত্যু হয়।
দিনাজপুর সহকারি বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহীন কবির জানান, যে পুকুরের পাড় থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয় সেখানে নাকি বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরা চলছিল।
তিনি আরো জানান, বন বিভাগের চিড়িয়াখানায় আনার পরেও কচ্ছপটি মুভমেন্ট (নড়াচড়া) ছিলো। এরপর কিছুটা নিথর হয়ে পড়লে ফোনে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটা ইঞ্জেকশন পুশ করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এটা মারা যায়।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তামলাই এলাকার আবু রায়হানের পুকুরের কিনারে কচ্ছপটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় তারা পুকুর মালিককে খবর দেয়। পরে পুকুর মালিক ও স্থানীয়রা কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়।
পুকুর মালিক আবু রায়হান বলেন, পুকুরটি শত শত বছর পুরোনো। এ পুকুরের পানি কখনও শুকায় না। এখান থেকে এর আগেও কচ্ছপ ধরা পড়েছে। কিন্তু সেগুলোর ওজর ১০-১৫ কেজির বেশি হবে না। কিন্তু তিনি জানার আগেই স্থানীয়রা সেগুলো মেরে ফেলেছে। এবার সেটি হতে দেননি তিনি।