25 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৮:৪৭ | ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
মারাত্মক হারে বাড়ছে বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবেশ বিজ্ঞান পরিবেশগত সমস্যা

মারাত্মক হারে বাড়ছে বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

মারাত্মক হারে বাড়ছে বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে প্রতি বছর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় গড়ে ৩ দশমিক ৪২ মিলিমিটার। তবে সরকারি এক গবেষণায় উঠে এসেছে বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি। ওই গবেষণা বলছে, এতে খাদ্য উৎপাদন ও জীবিকার ওপর ধারণার চেয়েও বেশি প্রভাব পড়বে।

উপকূলীয় ১২টি জেলায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব মারাত্মক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে এসব অঞ্চলে জলাবদ্ধতা, উচ্চ লবণাক্ততা, ফসলের ক্ষতি, উচ্চ তাপমাত্রা এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া এই গবেষণার ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। সমীক্ষার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি হারাবে এবং দারিদ্র্য বাড়বে।

১৯৯৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গাঙ্গেয় জোয়ার-ভাটা প্লাবনভূমি, মেঘনা মোহনা প্লাবনভূমি এবং চট্টগ্রাম উপকূলীয় সমভূমি এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের গড় বার্ষিক উচ্চতা বৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার থেকে ৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার, ৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার থেকে ৪ দশমিক ১ মিলিমিটার এবং ৩ দশমিক ১ মিলিমিটার থেকে ৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে দেখা যায়।

পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত ‘এস্টিমেশন অব সি লেভেল রাইজ (এসএলআর) ইন বাংলাদেশ ইউজিং স্যাটেলাইট আল্টিমেট্রি ডেটা’ শীর্ষক গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমান হারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি চলতে থাকলে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।

গবেষণায় পলি জমার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে এই গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, গবেষণায় স্যাটেলাইট আল্টিমেট্রি ডেটা ব্যবহার করে বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে পানির স্তরের পরিবর্তন পরিমাপ করা হয়েছে।



তিনি বলছিলেন, পলি জমার বিষয়টির সঙ্গে মাটির দেবে যাওয়াকেও তারা হিসেবে নিয়েছেন এবং দেখা গেছে বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার এই অঞ্চলে বেশি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় জনগণের জীবন ও তাদের জীবিকায় ঝুঁকি বাড়বে।

লবণাক্ততা, উপকূলীয় প্লাবন ও জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা বাড়বে। এর প্রভাব পড়তে পারে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল সরবরাহ এবং উপকূলীয় অবকাঠামোর ওপর। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন ও এর বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৬ সালে জোয়ার-ভাটার তথ্য ব্যবহার করে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে আরেকটি গবেষণা করেছিল।

উভয় গবেষণারই প্রকল্প পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (জলবায়ু পরিবর্তন) মির্জা শওকত আলী বলেন, বিশেষজ্ঞরা স্যাটেলাইট আল্টিমেট্রি ডেটা ব্যবহার করে ২০১৬ সালের গবেষণার ফলাফল যাচাই এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব মূল্যায়নের সুপারিশ করেছিলেন।

পরে পরিবেশ অধিদপ্তর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট এবং সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) মাধ্যমে এই গবেষণাটি করে।

যাতে অর্থ যোগান দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড। গবেষণায় নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও সিইজিআইএসের পরিচালক মোতালেব হোসেন সরকার।

মহাকাশ থেকে সমুদ্রের স্তর পরিমাপ করে এমন বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। যেখানে নাসা এবং ফরাসি অ্যারোস্পেস এজেন্সির টোপেক্স/পসেইডনের মতো স্যাটেলাইট যেমন ছিল তেমনি জেসন-১, ২ এবং ৩ এর পাঠানো তথ্যও ছিল।

বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তারা সময়ের সাথে সাথে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির সামগ্রিক প্রবণতা বোঝার চেষ্টা করেন।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত