ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করবে ‘লু’
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে সাক্ষাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
লু বলেন, পরিবেশমন্ত্রীর সাথে আমাদের চমৎকার আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনে কিভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার কথা জানান তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছি। অতীতের কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। বাংলাদেশ এবং আমেরিকার যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কিভাবে আগামী দিনে আরও এগিয়ে নিতে পারি এবং সেখানে স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান ভিন্ন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং আমেরিকা আরো কিভাবে কাজ করতে পারে, মূলত আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।
যখনই আমরা জলবায়ু নিয়ে কথা বলি পরিবেশের বিষয়টা চলে আসে। পরিবেশ, বন এবং জীববৈচিত্র্য। আমরা চাচ্ছি আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে হয়তো আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব।
‘আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা তিন/চার অথবা পাঁচ বছরের একটা কর্মসূচি নেব। প্রতিবছরের সেই কর্মসূচির অধীনে আমরা কি কি কাজ করব সেটা থাকবে,’ যোগ করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
এছাড়াও আমরা যেটা বলেছি জলবায়ু অর্থায়নের যে বিষয়টা আছে, সেখানে বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংক আছে, এডিবি আছে, আগামী দিনে তারা কিভাবে অর্থায়ন করবে জলবায়ুতে, সেটা একটা বড় বিষয়।
কেননা আমরা যদি প্যারিস চুক্তির আলোকে দেখি সেখানে চাহিদাটা ছিল বিলিয়ন ডলারের। এখন চাহিদা চলে যাচ্ছে ট্রিলিয়ন ডলারে। এখন ট্রিলিয়ন ডলার তো আর কোনো সরকারের কাছ থেকে আসবে না। মূলত আসবে এই ধরনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত থেকে, জানান তিনি।