বৃক্ষনিধন বন্ধে বাপার ১২ দাবি
বৃক্ষনিধন বন্ধে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বৃক্ষনিধন ও তার পরিবেশগত প্রভাব: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
তাদের দাবিগুলো হলো, পরিকল্পনাহীনভাবে সড়কদ্বীপে গাছ কাটা বন্ধ করা; স্থানীয় প্রজাতির বৃক্ষ দ্বারা ইতোমধ্যে কেটে ফেলা গাছ প্রতিস্থাপন করা; রোপণকৃত গাছের সঠিক সংরক্ষণ নিশ্চিত করা;
নগরে বনায়ন, গাছ রক্ষা ও কাটার প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট বিধিমালা ও কৌশলপত্র প্রণয়ন করা এবং যে কোনও প্রকল্প গ্রহণে আইনগতভাবে অবশ্য করণীয় পরিকল্পনা ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন নিশ্চিত করা।
এছাড়া তারা আরও দাবি করেন, বৃক্ষনিধন হয় এমন যেকোনও প্রকল্পে অংশীজন-সভার মতো অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা; বিদ্যমান গাছ ও সবুজকে যথাসম্ভব অক্ষুণ্ণ রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা;
নগর এলাকায় গাছ কাটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা; অবকাঠামোগত ও নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রকৃতিভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া;
বিদ্যমান আইনে বৃক্ষনিধন বন্ধে আরও কঠোর শান্তির বিধান আরোপ করা; উপযুক্ত বৃক্ষশুমারির মাধ্যমে বিদ্যমান বৃক্ষের সংরক্ষণ ও নতুন বৃক্ষরোপণের কৌশল নির্ধারণ নিশ্চিক করা ও জীববৈচিত্র ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রক্ষায় সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে ‘বৃক্ষনিধন ও তার পরিবেশগত প্রভাব: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব।
মূল প্রবন্ধে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত বৃক্ষনিধনের নানা চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি বৃক্ষনিধনের কারণে পরিবেশগত যেসব প্রভাব পড়ছে সেগুলো আলোচনা করেন।
বাপার কোষাধক্ষ্য মহিদুল হক খানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পরিবেশবিদ অধ্যাপক ড. তাওহীদা রশীদ এবং গ্রিন সেভার্স-এর প্রধান নির্বাহী আহসান রনি প্রমুখ।