বিশ্বে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আরও নিখুঁত পূর্বাভাস পেতে এবার একত্রে কাজ শুরু করেছে নাসা-ইসরো (NASA-ISRO)
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর (Yaas) অগ্রিম সতর্কবার্তা পাওয়া গিয়েছে। আর সেজন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রিম সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়েছে। উপগ্রহের (Satellite) চিত্রের তথ্য বিশ্লেষণ এই কাজের বড় একটা সূত্র।
উপগ্রহের চিত্র দেখেই ঝড়ের গতিপথ অনেকটা নিখুঁতভাবে বোঝা যায় এবং তার ভিত্তিতেই বিপদ সামলাতে অগ্রিম ব্যবস্থা করা হয়। তারপরেও মাঝেমধ্যে উপগ্রহের পাঠানো ছবির খুব সামান্য ভুল বিশ্লেষণে অনেক বড় সমস্যা হয়ে থাকে।
এই সমস্যা সম্পূর্নভাবে দূর করতে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন । সেই প্রয়োজন মেটাতে এবার একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে নাসা-ইসরো। রাডার (Radar) সিস্টেম আরও উন্নত করার দায়িত্ব নাসার, ইসরো তাকে নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।
নাসা-ইসরো (NASA-ISRO) যৌথ প্রকল্পের নাম – নাসা ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (NISAR)। এই মুহূর্তে যে উপগ্রহগুলি কাজ করছে অর্থাৎ Earth System Observatory-র অন্তর্গত সকল স্যাটেলাইট বিশ্বের বিভিন্ন দেশকেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।
কারণ, সকল সিস্টেমটা একক। সেক্ষেত্রে দেশগুলির কোনও পৃথক অধিকার নেই। এক্ষেত্রে যৌথভাবে সকলে কাজ করে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আরও নিখুঁতভাবে পূর্বাভাস পেতে সিস্টেমটি উন্নয়নের কাজ করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ।
২০১৭ সাল থেকে নাসার গাইডলাইন ও পর্যবেক্ষণ মেনে তৈরি হয়েছে স্যাটেলাইট সিস্টেম। তাকে আরও উন্নত করার জন্য এবার নাসার সাথে একত্রে কাজ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
নাসার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত, ভূমিধসের মতো বহু পরিচিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা থেকে যাচ্ছে। বরফ গলনের ক্ষেত্রেও একই। এই জটিলতা কাটাতে এই যৌথ মিশন।
স্যাটেলাইটের ছবি দেখে যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্প NISAR তার আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও বেশি সাহায্য করতে পারবে। ইসরোর পক্ষ থেকে দুটি রাডার দেওয়া হবে । যার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের প্রতি আধ ইঞ্চিতে কী পরিবর্তন ঘটবে তা বোঝা যাবে।
সুতরাং কম্পন অথবা অগ্ন্যুৎপাতের ক্ষেত্রে তা অনেকটা বেশি কার্যকারি হতে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস আরও ভালভাবে বোঝার জন্য নাসা-ইসরোর এই যৌথ উদ্যোগ।