বিগত ৭ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ঢাকার বায়ু দূষণ
ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে নিয়মিত গবেষণা করে আসছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস)।
সংস্থাটির গবেষণায় উঠে এসেছে, গত ৭ বছরে সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণ হয়েছে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত সময় নিয়ে বিগত ৭ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে শীর্ষ অবস্থানে ছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস। এ মাসে ১০ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকরের মাত্রায়। বাকি দিনগুলোতেও একদিনও মিলেনি বিশুদ্ধ বায়ু।
অপরদিকে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে কিছুটা দূষণ কমলেও এ মাসে বিগত ৭ বছরের তুলনায় বায়ু দূষণ তুলনায়মূলক বেশি ছিল।
ফলে জানুয়ারিকে টপকাতে না পারলেও সাত বছরে দ্বিতীয় শীর্ষ দূষিত মাসের স্থান দখল করেছে ফেব্রুয়ারি। এই মাসের প্রথম ২৩ দিনের পর্যবেক্ষণ বলছে, ২৩ দিনের মধ্যে একদিনও ঢাকার বাতাস বিশুদ্ধ ছিল না। এছাড়া ৬ দিন অস্বাস্থ্যকর, ১৪ দিন খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর মাত্রায়।
ক্যাপস আরও জানায়, গত বছরের তুলনায় ঢাকায় ২০২৩ সালে বায়ু দূষণ বেড়েছে ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে যেখানে ঢাকার গড় বায়ুমান ছিল ২১৪ একিইউআই, ২০২৩ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ২৩১ একিইউআই-এ।
ক্যাপসের করা গত ৭ বছরের বায়ুমানের গড় পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোর বায়ুমানের গড় ছিল ২২১ একিউআই। অথচ এ বছরের বায়ুমানের গড় দাঁড়িয়েছে ২৩১ একিইউআই।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে গবেষক দলের প্রধান ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ণ কেন্দ্রের (ক্যাপস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, আমরা ধারনা করেছিলাম যেহেতু বিগত বছরগুলোর তুলনায় ঢাকায় এখন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ কমে এসেছে বায়ুমানও আগের থেকে কিছুটা উন্নতির দিকে যাবে।
কিন্তু তেমনটা হয়নি। এর একটা বড় কারণ গত ডিসেম্বরে কাজগুলো শেষ হলেও এর পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি হলে হয়তো বায়ু দূষণ কিছুটা কমতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এখন ঢাকার বায়ু দূষণের বড় একটি ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্জ্য পোড়ানো। এটি নগরের বায়ুকে ক্রমন্বয়ে ক্ষতিকর থেকে অতি ক্ষতিকর মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে খুব বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি।