বায়ুদূষণের কারণে বেড়ে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ বেশি সেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে সমীক্ষা। সম্প্রতি কার্ডও ভাসকুলার রিসার্চ নামক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সমীক্ষায় এ তথ্য জানা যায়।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ করোনা অক্রান্তের আশঙ্কা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির বাড়ার অন্যতম কারণ এই বায়ুদূষণ। ইউরোপে এ হার প্রায় ১৯ শতাংশ, উত্তর আমেরিকায় ১৭ শতাংশ ও পূর্ব এশিয়ায় বায়ুদূষণের ফলে করোনা হওয়ার হার ২৭ শতাংশ।
চেক রিপাবলিকে বায়ুদূষণ থেকে করোনা হওয়ার হার ২৯ শতাংশ, চীনে ২৭ শতাংশ, জার্মানিতে ২৬ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ২২ শতাংশ, বেলজিয়ামে ২১ শতাংশ, নেদারল্যান্ডে ১৯ শতাংশ, ফ্রান্সে ১৮ শতাংশ, সুইডেন ১৬ শতাংশ, ১৫ শতাংশ ইতালিতে, ব্রিটেনে ১৪ শতাংশ, ব্রাজিলে ১২ শতাংশ, পর্তুগালে ১১ শতাংশ, আয়ারল্যান্ডে ৮ শতাংশ, ইসরায়েলে ৬ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়াতে ৩ শতাংশ, নিউজিল্যান্ডে ১ শতাংশ।
সমীক্ষার ভয়েস রেকর্ডার সূত্রে জানা গেছে, যদি সব এলাকায় বায়ুদূষণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম, সেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশ কম। বিশেষ করে যেখানে জ্বালানির মাধ্যমে বায়ুদূষণের হার কম, সেখানে করোনা কম ছড়িয়েছে বলে সমীক্ষা জানিয়েছে। ।তবে আসন্ন শীতকালে বাড়তে পারে করোনা সংক্রমণ। কেননা, শীতকালে বাড়ে বায়ুদূষণের হার।
ইতালি ও চীনের ওপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে শীতকালে ক্রমাগত বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। আর ভারতে বায়ুদূষণ সেই পরিমাণকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। রিসার্চ বলছে, প্লাজমা থেরাপি মৃত্যুর হার কমাতে পারেনি। এই কারণে শীতকালে মাস্ক পরার অভ্যাসটা আরও জোরদার করতে হবে। বারবার হাত ধুতে হবে। সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
গবেষকরা বলছেন, গরমকালে অ্যারোসোলের ছোট ছোট কণার কারণে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, শীতকালে রেসপিরেটরি ড্রপলেট সরাসরি সম্পর্কে আসার ফলে করোনা আরও বাড়তে পারে।
এই সমীক্ষা চালিয়ে ছিলেন প্রফেসর জোস লেলিভেল্ড, প্রফেজস থমাস মুনজেল, ড. অ্যান্ড্রিয়া পোজার। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’র বর্তমান নিয়মগুলো কোভিড -১৯ এর বিস্তার বন্ধ করতে যথেষ্ট নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখে গেছে রেসপিরেটরি ড্রপলেট ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।”