বায়ু দূষণ কমাতে ইট-ভাটায় সিপিটি স্থাপনের দাবি পরিবেশকর্মীদের
বায়ু দূষণরোধে পরিবেশে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া নির্মূলকরণে ইট-ভাটা, অটো রাইস মিলস, রোলিং স্টিল মিলসসহ সব কল-কারখানায় কার্বন পিউরিফিকেশন টেকনোলজি (সিপিটি) স্থাপনের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি।
রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক সভা করে এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। নাগরিক সভায় বক্তারা বলেন, বায়ু দূষণের কারণে বছরে লক্ষাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। এই ব্যাপারে রাষ্ট্র একদম নির্বিকার।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ এ অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ২ দশমিক ৫ (পিএম ২.৫) এর আদর্শমান প্রতি ঘন মিটারে ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে বাড়িয়ে ৩৫ মাইক্রোগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটি ১০ মাইক্রোগ্রাম থেকে কমিয়ে ৫ মাইক্রোগ্রাম করেছে। নাগরিকদের প্রতি উদাসীনতা বর্তমান রাষ্ট্রের একটা চরিত্র। রাষ্ট্র একদিকে বলছে টেকসই উন্নয়নের কথা অন্যদিকে বায়ুর মানের ব্যাপারে তারা আপস করছেন।
তারা আরো বলেন, আমাদের দেশে বায়ু ও পরিবেশ নিয়ে প্রায় ২০০ টির মতো আইন আছে। কিন্তু এগুলোর প্রয়োগ নেই। দূষণ কমানোর জন্য আদালত স্থাপন করা হয়েছে। গত ২০ বছরে বায়ুদূষণ নিয়ে যত মামলা হয়েছে, সেখানে একজনের মাত্র সাজা হয়েছে।
মামলা যেগুলো হয়েছে সেগুলো বছরের পর বছর চলছে, বিচারক নেই। এই মামলাতে লোকজন ভয় পাচ্ছে না। সরকার তার দায় এড়াচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আমরা অনেক পেছনে আছি।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র বর্তমান এবং আগামীর জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করবে। আমরা তা নিজেদের জন্য তো করতে পারছিই না বরং আগামীর নাগরিকদের জন্যও পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছি। অনেক শিশু যারা আমাদের আগামীর নাগরিক তারা শ্বাসকষ্টে ভুগছে বায়ুদূষণের কারণে।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের সভাপতিত্বে নাগরিক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নূর ইসলাম, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির মহাসচিব মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম খোকন, মো. ফজলুল হক ভূইয়া প্রমুখ।