বায়ুদূষণে কাশিতে ভুগছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এক মাস ধরে কাশিতে ভুগছেন। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, দেশটির রাজধানী জাকার্তার মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ প্রেসিডেন্ট উইদোদোর এই অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
বিশ্বের শতাধিক শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে জাকার্তা শুরুর দিকে থাকে। এমনকি আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স—একিউআই) বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। শহরটির স্কোর ১৫৬।
বাতাসের এমন ‘অস্বাস্থ্যকর’ পরিস্থিতিতে জাকার্তায় বসবাসকারী মানুষের কাশি-শ্বাসকষ্টে ভোগা অবাক করার মতো কোনো ঘটনা নয়।
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন ও সৃজনশীল অর্থনীতিবিষয়কমন্ত্রী সান্দিয়াগা উনো গত সপ্তাহে জাকার্তায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট উইদোদো প্রায় চার সপ্তাহ ধরে কাশিতে ভুগছেন।
সান্দিয়াগা উনো আরও বলেন, চিকিৎসকেরা প্রেসিডেন্ট উইদোদোর এই শারীরিক সমস্যার কারণ খুঁজছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বায়ুদূষণের কারণে এমনটা হতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সমস্যায় ভুগছে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা। গাড়ির কালো ধোঁয়া, নির্মাণ প্রকল্পের ধুলা, কয়লাসহ বিভিন্ন জৈব জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার এ দূষণের বড় কারণ। এ ছাড়া জাকার্তার আশপাশের শিল্পকারখানাগুলো থেকে নির্গত হওয়া ধোঁয়া দূষণ বাড়িয়ে তোলে।
জাকার্তার বায়ুর নিম্নমানের জন্য সরকারের দায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এ বিষয়ে ২০২১ সালে ৩২ জন নাগরিক বাদী হয়ে আদালতে একটি পিটিশন করেন। বিবাদীপক্ষে রাখা হয় প্রেসিডেন্ট উইদোদো, তাঁর সরকারের তিনজন মন্ত্রী এবং তিনজন প্রাদেশিক গভর্নরকে।
পর্যবেক্ষণে তিনজন বিচারকের একটি প্যানেল রায়ে জানান, প্রেসিডেন্ট উইদোদোসহ বিবাদীপক্ষের সবাই জার্কাতার বায়ুদূষণ প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ ছাড়া পাশের জাভা ও বান্তেল প্রদেশের গভর্নররা দূষণ ঠেকাতে সফল হননি। তাঁদের এমন ভূমিকা জাকার্তার বায়ুদূষণ লাগামহীন করতে অবদান রাখছে।
আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন উইদোদো ও তাঁর মন্ত্রীরা। ২০২২ সালে ওই আপিলেও হেরে যান তাঁরা। চলতি বছর আবারও আপিল করা হয়েছে। এই আপিল এখনো আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে প্রেসিডেন্ট উইদোদোর অসুস্থ হওয়ার খবর সামনে এল।