বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর এক যুগপূর্তি উদযাপন
বিগত ৭ এপ্রিল, ২০২৩, ছিল সড়কের পাশে পৃথক সাইকেল লেন বাস্তবায়নের দাবীতে আন্দোলনরত ”বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ” এর এক যুগপূর্তি দিবস।
এই দিন রাজধানী গ্রীণ রোডস্থ ক্রিসেন্ট প্লাজায় অবস্থিত ব্রেন্ড এন্ড লাইফ হসপিটাল এর সেমিনার রুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফীল এবং প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা নাগরিক সুস্বাস্থ্য গঠন,পরিবেশ উন্নয়য়ন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, যানজট নিরসন ও নিরাপদ পথচলার মাধ্যম হিসাবে সাইক্লিং এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম টুববুস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ড. এম হেলাল, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গ্রীণ পেজ নিউজ পোর্টালের প্রধান উপদেষ্টা পরিবেশবিদ প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক আল আমিন বিন হাসিম এবং ব্রেন্ড এন্ড লাইফ হসপিটালের ব্যাবস্থাপক ফকরুল হোসেন।
আরও যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপী, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন পাটোয়ারী, ধানমন্ডি ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের সভাপতি মোঃ তাহজ্জত হোসেন, ঢাকা ফটোগ্রাফিক ইনিস্টিউটের পরিচালক মোঃ শহীদুজ্জামান বাদল, ঢাকা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, রয়েল ফিটনেস স্টুডিও এর প্রধান নির্বাহী কাজী কায়েসসহ প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ব বিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ড. এম হেলাল তাঁর বক্তব্যে সাইক্লিং শারিরিক, মানষিক স্বাস্থ্য ও ইহার অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন সাইকেলে যাতায়ত নিরাপদ, ব্যয় সাশ্রয়ী এবং সুঠাম দেহ গঠনে অত্যন্ত কার্যকরী। প্রধান বক্তার বক্তব্যে পরিবেশবিদ প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর গঠনের উদ্যোক্তাগণকে বিশেষ করে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃআমিন ইসলাম টুববুসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এবং গত এক যুগ ধরে যারা ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে এ সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহন করে ও সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন বাহ্যিকভাবে দেখলে গত একযুগে এর অর্জণ হয়ত কম মনে হবে, কিন্তু সামাজিকভাবে দেখলে এর অর্জণ অপরিসীম। বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর আন্দোলন এক যুগ আগে যখন শুরু হয়েছিল তখন অনেকের কাছেই এর দাবী অবাস্তব মনে হয়েছিল, হয়ত কেহ কেহ ইহা নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও করেছিল।
কিন্তু এ একযুগে এ দাবীটি শুধু সমাজে সাড়াই জায়গায়নি, বরং ইহা যে শহরাঞ্চলের যানজট নিরসণ, জ্বালানী সাশ্রয়, সুস্বাস্থ গঠন এবং পরিবেশ উন্নয়নে অপরিহার্য তা সমাজের বিশাল অংশ উপলব্দি করতে পেরেছে। তিনি বলেন অনেকেরই বড্ড মূল ধারণা এই যে, যেখানে আমাদের শহরের সড়কগুলোতে সাধারণ মোটর যান, রিক্সা চলাচলেরই স্থান সংকুলাণ হচ্ছে না, সারাক্ষণ যানজট লেগেই আছে। সেখানে এত কম প্রশস্থের সড়কে আলাদা সাইকেল লেন হবে কিভাবে? তিনি বলেন বিষয়টিতে একটি ধারণাগত ভূল রয়েছে।
কারণ, কম প্রশস্থের রাস্তা বলেই জনগনেরর সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য অন্য যানবাহনের পরিবর্তে শুধু মাত্র সাইকেল ও পায়ে হেঁটেই উহাতে চলাচল করা উচিত যা উন্নত দেশগুলোতে রয়েছে। রাজধানীর ব্যস্ততম রাস্তা যে গুলোতে সারাক্ষণ যানজট লেগেই থাকে সে সকল রাস্তায় যদি স্বল্প পরিসরে হলেও সাইকেল লেন শুরু করা যায়, তবে যাতায়ত খরচ বাঁচাতে এবং যানজট এড়াতে জনগন অন্য যানের পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে সাইকেলে চলাচলের দিকে ঝঁকতে বাধ্য হবে এবং এক সময় ঐ সকল রাস্তার পুরোটাই সাইকেল লেনে পরিনত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এভাবে চলতে থাকলে একসময় দেশের সর্বত্রই চলাচলের জন্য জনগণের সাইকেল উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে। এতে জনগণের চলাচলে ব্যয় সাশ্রয় হবে, জীবাস্ম জ্বালানী তথা প্রেট্রোল, ডিজেল, অকটেন চালিত গাড়ীর ও জীবাস্ম জ্বালানীর আমদানী হ্রাস পেয়ে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, দেশের নাগরিকগণ সুঠাম ও দীর্ঘকার দেহের অধিকারী হবে, যা নাগরিকদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় হ্রাস করবে, সর্বোপরি শহরাঞ্চলের যানজট হ্রাস করে কর্মঘন্টা বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য এর উন্নয়ন ঘটাবে।
প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান আরো বলেন, শহরাঞ্চলসহ দেশে নাগরিকদের সাইকেলে চলাচলের প্রধান অন্তরায় হলো নিরাপদ সা্ইকেল পার্কিং এর অনুপস্থিতি। দেশের কোথায়ও নিরাপদ সাইকেল পাকিং এর সু-ব্যবস্থা নাই।
যদি সাইকেল পাকিং এর সু-ব্যবস্থা থাকত, তবে দেশে সাইকেলে চলাচলকারীদের হার বর্তমানের তুলনায় নূন্যতম পক্ষে ৫০ গুণ বৃদ্ধি পেত এবং এত সংখ্যক সাইকেল আরোহী সড়কসমূহে চলাচল করলে ক্রমান্বয়ে সকল সড়কেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাইকেল লেনে পরিনত হতো।
তাই তিনি হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, পার্ক, জনসমাগমস্থল, সড়কেরর পাশে ও সড়কের মোড়ে মোড়ে নিরাপদ সাইকেল পার্কিং এর প্রব্যবস্থা করার জোর দাবী জানান।
ব্রেন্ড এন্ড লাইফ হসপিটালের ব্যাবস্থাপক ফকরুল হোসেন বলেন সাইকেলে চলাচলকারী সুস্বাস্থের অধিকারী হন এবং সাইকেল এ চলাচলকারী ব্যক্তি কখনও ডায়াবেটিস রোগ আক্রান্ত হন না।
তিনি বলেন সু-স্বাস্থ্য গঠন এবং মাদক আসক্ত রোধে সাইক্লিং এর গুরুত্ব অপরিসীম বলেই ব্রেন্ড এন্ড লাইফ হসপিটালের পক্ষ হতে সর্বদা বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করছে, কর্মসূচীকে সাফল্যমন্ডিত করতে সহযোগীতা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানিয়া সুলতানা হ্যাপী বলেন সাইক্লিং পরিবেশ উন্নয়ন ঘটায় এবং ব্যয় সাশ্রয়ী বলে এ দাবীর সাথে একমত পোষণ করেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই এ আন্দোলনের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি জানান এবং গত একযুগে বিভিন্ন কর্মসূচীর কিছু অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম টুববুস বলেন, এক যুগ আগে এক শুক্রবার তাঁর জন্মদিনে কয়েকজন সাইকেল প্রেমী বন্ধু মিলে “বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ” প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি জানান।
তাই বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর জন্ম দিন মানে তারও জন্ম দিন এবং এ আন্দোলনের সাথে তাঁর জীবনগাঁতা যে রয়েছে তা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ ঢাকা শহরের প্রতিটিটি সড়কের পাশে আলাদাভাবে সাইকেল লেন প্রতিষ্ঠার দাবী তুলে বিভিন্ন কর্মসূচী শুরু করলে অনেকেই এ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা শুরু করে এবং কেহ কেহ পাগলের প্রলাপ বলেও কুটক্তি ছাড়েনি।
কিন্তু ক্রমান্বয়ে আমাদের দাবী সমাজের বিশাল একটা অংশকে নাড়া দেয় এবং দেশের যানজট নিরসন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য গঠণ, পরিবেশ উন্নয়নে জ্বালাণী বিহীন যান হিসাবে সড়কে আলাদা সাইকেল লেন প্রতিষ্ঠার সাথে অনেকেই একাত্বতা প্রকাশ করতে থাকেন। বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর দীর্ঘ ১২ বছর দেশে বিভিন্ন কর্মসূচীতে দেশ বরেণ্য বহু ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে আছেন,
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ.আ.ম.স. অধ্যাপক আরিফিন সিদ্দিকী,
- বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান,
- সমাজসংস্কারক ও আলোকিত মানুষ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ,
- ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আনিসুল হক,
- জাতীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য-সচিব অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ,
- মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল,
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,
- শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব,কামাল লোহানী,
- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সাংবাদিক ও মো:মাহবুব আলী,
- বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব এনামুল হক,
- বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন, না
- বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান নাট্য ব্যাক্তিত্ লাকি ইনাম,
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র কিংবদন্তি নায়ক এবং সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক,
- খ্যাতিমান অভিনেতা মিশা সদাগর,
- বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী,
- সম্মিলিত ও সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গোলাম কুদ্দুস,
- গণসাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি যোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী,
- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম,
- চিত্রশিল্পী এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা অভিনেতা আফজাল হোসেন
- পরিচালক, দৃক পিকচার লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্র শিল্পী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ড. শহিদুল আলম,
- ক্রিকেটার মেহেরাব হোসেন অপি
- জাতীয় ফুটবলার মোহাম্মদ কায়সার হামিদ,
- কণ্ঠশিল্পী মেহরীন মাহমুদ,
- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত,
- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এর সাধারণ হুমায়ূন কবির,
- সাবেক প্রতি মন্ত্রী এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাশেদ খান মেনন,
- সাবেক প্রতি মন্ত্রী এবং জাপার চেয়ারম্যান জি.এম. কাদের,
- সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম,
- নিরাপদ সড়ক চাই এর চেয়ারম্যান ও সম্পাদক চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন
- ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক,
- চিত্রনায়িকা প্রিয় মনি,
- স্থপতি আহসানুল হক খান,
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,
- সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ,
- বরেণ্য সঙ্গীত পরিচালক আজাদ রহমান,
- অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক,
- খ্যাতনামা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যিক জোবেরা রহমান,
- বাংলাদেশ সাইকেল ফেডারেশনের সভাপতি মিজানুর রহমান মানু,
- গীতিকার প্রাকৃতজ শামীম রুমি,,
- নারী মৈত্রী ও জাগো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অরণ্য হক,
- ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি শহিদ মাহমুদ শহিদুল্লাহ,
- জাতীয় তরুণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল হক,
- বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী শরীফ জামিল,
- বিশিষ্ট নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাদের চৌধুরী,
- স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অধ্যাপক আহমেদ মরুজ্জামান,
- পরিবেশ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠ আবু নাসের খান, প্রমুখ।
মোঃ আমিনুল ইসলাম টুববুস আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব আতিকুল ইসলাম রাজধনীর আঁগারগাঁওতে একটি সড়কে আলাদা সাইকেল লেন প্রতিষ্ঠিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ.আ.ম.স. অধ্যাপক আরিফিন সিদ্দিক উদ্যোগে ঢাকা ভার্সির্টির একটি সড়কে আলাদা সাইকেল লেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এভাবে আগামীতে দেশের সকল সড়কে আলাদা সাইকেল লেন প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ফটোগ্রাফিক ইনিস্টিউটের পরিচালক মোঃ শহীদুজ্জামান বাদল বলেন, এক যুগ সাইকেল লেন বাস্তবায়নের বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে তিনি একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরীর আশা প্রকাশ করেন।
ইহাছাড়াও ঢাকা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, রয়েল ফিটনেস স্টুডিও প্রধান নির্বাহী কাজী কায়েসসহ প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন এবং ধানমন্ডি ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের সভাপতি মোঃতাহজ্জত হোসেন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারের পর বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ এর ১২ বছর পূর্তির সূদৃশ্য একটি কেক কাটা হয় এবং ঢাকা ফটোগ্রাফিক ইনিস্টিউটের পরিচালক মোঃ শহীদুজ্জামান বাদল এর পরিচালিত একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।