বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজনের পর্যাপ্ত সরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য স্বেচ্ছায় দাতাদের সহায়তার বাইরে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য জরুরি ভাবে নতুন, অনুমানযোগ্য এবং পর্যাপ্ত অনুদানভিত্তিক সরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন।
আমরা দেখতে চাই যে উন্নত দেশগুলো ২০২০ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে এবং গত তিন বছরের (২০২০-২০২২) ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
রবিবার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, এই প্রতিশ্রুতি কীভাবে সরবরাহ করা হবে তা সময় মতো রিপোর্ট এবং হিসাব করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্টতা প্রয়োজন। এটা করতে ব্যর্থ হলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুন্ন করবে এবং কাজের অগ্রগতি বিপন্ন করবে।
ক্লাইমেট ফিন্যান্সের নিউ কালেকটিভ কোয়ান্টিফাইড গোল (এনসিকিউজি) NCQG) অবশ্যই $ ১০০ বিলিয়ন/বছরের শেষ লক্ষ্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হতে হবে, ঋণের তুলনায় অনুদানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রকৃত চাহিদার প্রতিফলিত করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু অর্থায়নের একটি সংজ্ঞায় একমত হতে দলগুলোর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত, যা জলবায়ু এবং অ-জলবায়ু অর্থ প্রবাহের জবাবদিহি এবং স্বচ্ছতা সহজতর করে।
কপ ২৮-এর ফলাফলের ওপর জোর দেওয়া উচিত, যেখানে উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অর্থায়নের বিধান এবং গতিশীলতার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়ী।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।