বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে জেলার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বগুড়ায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে বাঙ্গালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪.৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি কমে আবার বাড়ায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আজ রোববার (৪ অক্টোবর, ২০২০) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৗশলী মো. মাহবুবুর রহমান।
গত শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার হিসাব অনুযায়ী, যমুনা নদীর পানির স্তর ছিল ১৬ দশমিক ৯৯ মিটার এবং বাঙ্গালী নদীর পানির স্তর ছিল ১৬ দশমিক ২৬ মিটার।
জানা যায়, যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বাড়ার ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, কর্নিবাড়ী, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কাজলা, কামালপুর, হাটশেরপুর, বোহাইল, ভেলাবাড়ী, ফুলবাড়ী ও সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো এবং এসব এলাকার রোপা আউশ, মাশকলাই, মরিচ, স্থানীয় জাতের গাঞ্জিয়া ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল হালিম জানান, যমুনা ও বাঙ্গালী নদীতে পানি বাড়ার ফলে উপজেলায় প্রায় ৪৫৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। রোববার সকাল ৬টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৬ দশমিক ৮৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে অর্থাৎ বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।বাঙ্গালী নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ মিটার। বর্তমানে এই নদীতে পানি বেড়ে ১৬ দশমিক ৩০ মিটার অর্থাৎ বিপৎসীমার ৪৪ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।