যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য দক্ষিণ ফ্লোরিডায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইটা’। গতকাল সোমবার (৯ নভেম্বর, ২০২০) ঘণ্টায় একশো কিলোমিটার গতিতে কিউবা হয়ে ফ্লোরিডায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। ঝড়টি বাহামার দিয়ে আগ্রসর হয়ে যাওয়ার সময় তিন অঞ্চলে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এতে কোন এলাকায় বন্যা আবার কোন এলাকায় হাঁটু পানি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এ ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরের দিকে ঘুরে মেক্সিকো উপসাগরের আরও পূর্বে শক্তিশালী হতে পারে বলে জানিয়েছে ফ্লোরিডার জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র।
সিএনএন এর তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি ৬৫ কিলোমিটার বেগে গত রোববার দক্ষিণ ফ্লোরিডার লোয়ার ম্যাটকম্ব এলাকায় আঘাত হানে। এটি পরে দুর্বল হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে দিকে অগ্রসর হয়। তখন বাতাসের বেগ ছিল ৫০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় ইটার প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব ফ্লোরিডার শহরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় হাঁটু পানি পর্যন্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি নিরসনে কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে, কিছু গাড়ি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঝড়ের আগে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় অনেক স্কুল বন্ধ ছিল। তীব্র বাতাসের কাছে অঞ্চলটি লকডাউন করা হয়েছিল। রাজ্যের প্রায় ১৩ হাজার বাসিন্দা ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিদ্যুৎহীন ছিলেন। গতকাল বিকেলের পরই ঝড়ের মাত্রা কমে যায়। এর আগে গত রোববার রাজ্যের ম্যারাথন দ্বীপের উপকূলে পৌঁছায় হ্যারিকেন ইটা।
ঝড়ের কেন্দ্র উপকূল থেকে দূরে থাকলেও এর বাতাস এবং বৃষ্টিপাত বাইরের দিকে প্রসারিত হচ্ছে। এর প্রভাবে আরও কয়েকদিন ভারি বৃষ্টি হতে পারে জ্যামাইকা, বাহামা ও ফ্লোরিডার দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে।
ঘূর্ণিঝড় ইটার কারণে গুয়াতেমালাতে অন্তত ১১৬ জন নিখোঁজ হয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টির ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধসে সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। কিউবায় ঝড়ের প্রভাবে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মেক্সিকো ও হন্ডুরাসেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।