প্লাস্টিক ব্যবহার করলেই ঢুকতে হবে জেলে
বারবার বলা সত্ত্বেও লঙ্ঘন করা হচ্ছে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা। এমন চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকেই দোকান বন্ধ করা, জরিমানা করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও প্লাস্টিক ব্যবহার করতে দেখলে প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করা হবে অভিযুক্তকে।
প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে বিধাননগরের বিভিন্ন বাজার-দোকান ঘুরে অভিযান চালান মেয়র পারিষদ বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু করেছিলেন এফডি ব্লক মার্কেট থেকে। প্রথমদিকে প্লাস্টিক নেই তো? কাগজ ব্যবহার করছ তো? নরম সুরেই দোকানদারদের প্রশ্ন করতে শোনা যায় তাঁকে। কিন্তু, বেশ কিছু দোকানে প্লাস্টিক মিলতেই বদলে যায় সুর।
সবজির দোকানে সবজি পাতলা প্লাস্টিকে ভরা দেখে নিজে হাতেই তা খালি করে প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করেন বাণীব্রতবাবু। তারপর মুদি, সবজি, মাছ-মাংস- কোনও দোকানে ৭৫ মাইক্রনের কম মোটা প্লাস্টিক রয়েছে দেখলেই জিনিসপত্র খালি করিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি বাজেয়াপ্ত করেন। সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “আজকে দেখে গেলাম। কিছু বললাম না। এরপর দিন দেখলেই দেখব সঙ্গে সঙ্গে দোকান বন্ধ করব, পুলিশে খবর দেব, তুলে নিয়ে যাবে। জরিমানা করা হবে।”
বিধাননগর পুরনিগমের বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১ মে থেকে বিধাননগরে নিষিদ্ধ হয়েছে ৭৫ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিক। তারপর থেকে সল্টলেক, নিউটাউন, কেষ্টপুর, বাগুইআটির অধিকাংশ জায়গাতেই প্লাস্টিক ব্যাগের দেখা মেলেনি। পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগের।
কিন্তু, কিছু জায়গায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্লাস্টিকের ব্যবহার চলছে খবর আসে পুরনিগমের কাছে। তারপরেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দেন মেয়র। অভিযানে নামেন মেয়র পারিষদ। বিধাননগরকে প্লাস্টিকবর্জিত শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যপূরণে ৪১টা ওয়ার্ডেই এভাবে অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
এদিনের অভিযান নিয়ে বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে প্রত্যেকটা জায়গায় বলে এসেছি, সতর্ক করে এসেছি। তা সত্ত্বেও আজ যেখানে যেখানে প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে তাদের আজকের জন্য ছাড় দেওয়া হল। শুধু প্লাস্টিকগুলো বাজেয়াপ্ত করলাম।
এরপরের দিন আবার আমরা আসব। এসে যদি কোনও দোকানে প্লাস্টিক পাই তাহলে তাদের জরিমানা করা হবে। তারপরে যদি প্রয়োজন হয় তাদের গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থাও আছে।’ বিক্রেতাদের জন্য ৫০০ টাকা ও ক্রেতাদের জন্য ৫০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।