প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশের জন্যই নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ
প্লাস্টিক দূষণ না কমালে দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার ইউনিলিভার বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) যৌথ উদ্যোগে হোটেল র্যাডিসনে ‘ইনোভেশন ফর প্লাস্টিক সার্কুলারিটি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইউনিলিভার জানিয়েছে, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আজ থেকে ১২ থেকে ১৩ বছর পর আমরা যখন ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশে রূপ নেব, তখন পরিবেশ দূষণ এবং বিশেষভাবে প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা আরও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এ সমস্যার সমাধান না করতে পারলে দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
প্লাস্টিক দূষণ কেবল পরিবেশের জন্যই নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য যখন জলাশয়ে যায়, তখন মাছও সেগুলো খায়।
এসব মাছ আমরা খাওয়ার মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং এ থেকে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। নাগরিকদের স্বাস্থ্যরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যের সুব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘শুধু প্লাস্টিক দূষণ নয়, সব ধরনের দূষণ সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান না করে দেশের মানুষকে ভালো জীবন দেয়া সম্ভব নয়।
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে শান্তিতে ও স্থিতিশীল পরিবেশে কাজ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্কুলার অর্থনীতির জন্য শিল্পখাতে সমর্থন যুগিয়ে যেতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সেমিনার চলাকালীন অতিথিরা ‘ইনোভেটিভ ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড প্যাকেজিং’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন, যেখানে ইউনিলিভার ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্লাস্টিক পণ্য এবং প্যাকেজিং উৎপাদন ও পুনঃচক্রায়ন এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদ্ধতি দেখানো হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাভেদ আখতার, বিপিজিএমইএ এর সভাপতি শামীম আহমেদ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সহ সভাপতি মো. আমিন হেলালী অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন।