28 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সন্ধ্যা ৭:২৩ | ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
প্লাস্টিক দূষণে পাহাড়ের নদী ঝুঁকিতে আছে
পরিবেশ দূষণ প্রাকৃতিক পরিবেশ

প্লাস্টিক দূষণে পাহাড়ের নদী ঝুঁকিতে আছে

প্লাস্টিক দূষণে পাহাড়ের নদী ঝুঁকিতে আছে

দেশের পরিবেশ ও নদী নিয়ে গবেষণা করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)। সম্প্রতি ৫৬টি নদীর তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আরডিআরসি।

সেখানে বলা হয়, তিন কারণে দূষিত হচ্ছে দেশের নদী- প্লাস্টিক বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য ও পৌর বর্জ্য। পাহাড়ের নদী ঝুঁকিতে আছে প্লাস্টিকের জন্য।

আরডিআরসি বলছে, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনাকে যতদিন না সাধারণ মানুষের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে ততদিন নদীদূষণ চলতেই থাকবে। এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীকে বিবেচনায় রেখে উন্নয়ন হচ্ছে। এই কারণেই নদীর পাড়ে কলকারখানা নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা করা হয় না।

সারা বছর ১২ লাখ গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে কারণ প্রকৃতি এখানে প্রধান বিষয় নয়। পরিবেশ রক্ষাকে নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়, তবে আসলে পরিবেশ রক্ষাকে দেখা উচিত অধিকার হিসেবে। নদীকে একজন শিল্পবর্জ্য ও পৌর বর্জ্য দিয়ে দূষিত করে মেরে ফেলবে, আর জেলে ও সাধারণ মানুষ মাছ খেতে পারবে না, এটা খুবই অস্বাভাবিক।

হাইকোর্ট নদীকে জীবন্ত-সত্তা হিসেবে ঘোষণা দিলেই শুধু হবে না। পরিবেশের এই বিপর্যয়ের জন্য মূল দোষীকে খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের এখন অস্তিত্বের সমস্যা।

গবেষণা বলছে, নদীদূষণের জন্য অন্যতম দায়ী প্লাস্টিক। বিশেষ করে চিপসের প্যাকেটের মতো একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সবচেয়ে বেশি দূষিত করছে নদীকে। পাহাড়ের নদীগুলোর দূষণের পেছনেও কাজ করছে প্লাস্টিক।



দুর্গম পাহাড়েও মানুষ মিনি প্যাক শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, টুথপেস্ট ব্যবহার করছে, বিষয়টা এমএনসিগুলোর জন্য বেশ পজিটিভ সাইন। কিন্তু এই একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্যগুলো ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে দেওয়ায় তা শেষ পর্যন্ত পানিতে গিয়ে মিশছে এবং নদী-খাল-বিলের পানিকে দূষিত করছে।

পাহাড় দূষণের পেছনে পর্যটকরা অনেকাংশে দায়ী। মানুষ পাহাড়ে ঘুরতে যায়, হাতে চিপসের প্যাকেট নিয়ে। খাওয়ার পর তা অবলীলায় ফেলে দিচ্ছে। এমনকি বিরিয়ানির প্যাকেটও ফেলা হচ্ছে এসব নদীতে। এসব বন্ধ করা উচিত। যেভাবেই হোক নদী রক্ষার জন্য এসব বন্ধ করা উচিত।

আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, এখন বর্ষাকাল চলছে। এই সময় পুরো দেশের ভূমির ৬৭ শতাংশ পানির নিচে চলে যাবে। এই সময় মাটি নিজেকে প্রস্তুত করবে। আবার এই নদীগুলো প্রোটিনের প্রধান উৎস। হালদাসহ সব নদীতে মা মাছ ডিম পাড়বে।

কিন্তু আমরা কলকারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলছি, সব ধরনের প্লাস্টিক নদীতে ফেলছি, বাণিজ্যিকভাবে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করছি। এসব দূষণ নদীকে মেরে ফেলছে। নদীর প্রাণিসম্পদকে হত্যা করছে।

তিনি আরো বলেন, প্রথমত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কমাতে হবে। প্লাস্টিক তৈরির কারখানা বন্ধ করতে হবে। ডাব খেতে এখন স্ট্র ব্যবহার করা হয়। অথচ আমরা স্ট্র ছাড়াও ডাব খেতে পারি।

এই স্ট্র পাহাড়ের পরিবেশকে নষ্ট করছে। আবার যেখানে-সেখানে পলিথিন, চকলেটের প্লাস্টিক খোসা, চিপসের প্যাকেট, ওয়ান টাইম প্লাস্টিক কাপ এগুলো ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। দরকার হলে পাহাড়ে চকলেট, চিপস বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ময়লা ফেলানোর জন্য নদীকে বেছে নেওয়া হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। এক্ষেত্রে উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে ময়লা ফেলানোর জন্য স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

মাল্টিন্যাশনাল প্রোডাক্ট, টয়লেট্রিজ প্রোডাক্ট তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার পরবর্তী সময়ে প্লাস্টিক যেন দূষণের কারণ না হয়- এই ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে।

মার্কেটকে টেকসই করতে গিয়ে এমন কিছু উৎপাদন করা উচিত না যা মাইক্রোপ্লাস্টিক তৈরি করে মাটি-পানির দূষণ করে। খাবারের যেমন ফুড গ্রেড স্ট্যান্ডার্ড থাকে তেমনি এনভায়রনমেন্টাল গ্রেড তৈরি করতে হবে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত