প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে দেশের অগ্রযাত্রা
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, প্রকৃতিতে মানুষের হস্তক্ষেপ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও নদীশাসনের প্রভাবজনিত কারণে বাংলাদেশের বিপদ বেড়েছে কয়েক গুণ।
বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণও অনেক বেড়ে গেছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অনেক পিছিয়ে দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এক মিডিয়া অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউএসএআইডির (USAID) সুখী জীবন প্রকল্প, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় সমাজসেবামূলক সংস্থা লাইট হাউস এ সভার আয়োজন করেন।
লাইট হাউসের নির্বাহী প্রধান হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ব্র্যাকের ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ডের প্রধান গোলাম রাব্বানী, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব হিউম্যানেটেরিয়ান অ্যাক্টর্সের সমন্বয়কারী মো. রওশন ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার সহ প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইউরেশিয়ান প্লেট, ইন্ডিয়ান প্লেট ও বার্মা প্লেটের মাঝামাঝি হওয়ায় বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত।
এ ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দারিদ্র্য ও ঘনবসতির কারণে এখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মারাত্নক ভয়াবহ।
মূল প্রবন্ধে হারুন আর রশিদ বলেন, দুর্যোগের ঝুঁকি, ক্ষয়ক্ষতি, মানুষের জীবন ও জীবিকা অর্জনের পথে বিশাল অন্তরায়। বিশেষ করে বড় বাধা দরিদ্রদের জন্য।
পরিবর্তিত প্রযুক্তি, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, পরিবেশ ও ভৌগোলিক বিপর্যয়, এইডসের প্রকোপ, জলবায়ুর পরিবর্তন, ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয় এবং ক্রমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ঝুঁকি তীব্রতর করে তুলে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে বিভিন্ন নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।