পরিবেশের গুণগতমান উন্নয়নের জন্য এযাবতকালের সবথেকে বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন যে, পরিবেশের গুণগতমান উন্নয়নে জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এযাবতকালের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফরমেশনাল প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
১৪ জানুয়ারি, ২০২১ বৃহস্পতিবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনিবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্পের প্রস্তুতি বিষয়ক উদ্বোধন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেছেন, সরকার নগরায়ণ ও শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত পরিবেশ উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে।
দেশের সার্বিক পরিবেশের গুণগতমান উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনিবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) নামের একটি বৃহৎ ট্রান্সফরমেশনাল প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি দেশের বায়ু ও পানির গুণগত মান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে প্রকল্পের ব্যয় ও বাস্তবায়নকাল জানানো হয়নি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর যোগ্যতা বাড়াতেও সহযোগিতা করবে। প্রকল্পের কর্মকাণ্ড জলবায়ু সংবেদনশীল হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বাড়াবাড়ি ও ব্যাপকাত কমাতে পাশাপাশি ভারসম্য রাখতে সহায়ক হবে। প্রকল্পটি সমন্বিত পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষণ সমস্যার সমাধান করবে।
মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার, শিল্প, যোগাযোগ ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও এজেন্সিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পটির সফল বাস্তববায়ন করা হবে। বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, বর্জ্য ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বিকাশের সমস্যা হ্রাস করার মতো প্রকল্পের কার্যক্রম দেশের পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের জনগণের মঙ্গল সাধনে সহায়তা করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মরন কুমার চক্রবর্তী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফরউল্লাহ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক একেএম রফিক আহমদ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ জাইং রু এবং সুইকো যোশিজিমা প্রমুখ।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর বর জানান, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকল্প ব্যয় ২৫০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা আড়াই হাজার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হতে পারে।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম