পরিবেশ রক্ষার্থে বর্জ্য উৎপাদনকারী কোম্পানির দায়িত্ব রিসাইক্লিং করা
দেশে অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে, যারা বর্জ্য উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাঁদের মোড়কজাত পণ্যের বর্জ্যে সয়লাব হয়ে যায় নগরীর ড্রেন ও খাল, যা নগরীর দূষণ ও জলাবদ্ধতার জন্য অনেকাংশে দায়ী। ফলে ওই কোম্পানিগুলোকে দায়বদ্ধ হতে হবে, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাঁদের ভূমিকা রাখতে হবে।
রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাবিষয়ক এক সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন। ইউএসএইডের আর্থিক সহযোগিতায় ও কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ডিএসকে কনসোর্টিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।
গবেষক আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, ‘বর্জ্যের যে অর্থনৈতিক ভ্যালু আছে, এটা আমরা অনেকে জানি না। এ বিষয়ে পলিসির জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে।
দেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান বর্জ্য উৎপাদন করে, কিন্তু তারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত হতে চায় না। যারা বর্জ্য উৎপাদন করে, তাদের দায়িত্ব রয়েছে বর্জ্য রিসাইক্লিং করা। এ বিষয়ে গণ্যমাধ্যমের অনেক বেশি সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।’
আলোচকেরা বলেন, নগরদূষণের বড় কারণ কঠিন বর্জ্য। সরকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ করেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নে কোনো নীতিমালা করা হয়নি।
ফলে এ ধরনের বর্জ্য নিয়ে অব্যবস্থাপনা হচ্ছে। তাছাড়া ঢাকার অধিকাংশ বস্তি এলাকায় এখনো সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। এতে পরিবেশদূষণের মাত্রা বাড়ছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়ক সানজিদা জাহান আশরাফি, কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাহবুল হক, প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিগার রহমান।