পরিবেশ রক্ষায় সীসা দূষণ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে
সীসা দূষণ মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা, গবেষণা ও সচেতনতা তৈরির ঘোষণা দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেড বা সীসার দূষণ শনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং এর ক্ষতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত বহু খাতভিত্তিক পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফরহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে রিপোর্ট চাওয়া হবে এবং সীসা দূষণ মোকাবিলায় বিপজ্জনক পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী বিধি তৈরি করা হবে। কমিটি অংশীজনদের দ্বারা ইতোমধ্যে গৃহীত কার্যক্রমগুলোর পর্যালোচনা করবে এবং ফলাফল উপস্থাপন করে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেবে।
সময় নির্ধারিত একটি কর্মপন্থা তৈরি করতে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। লেড দূষণের উৎসগুলোকে পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হবে এবং প্রচেষ্টার যে কোনও ঘাটতি শনাক্ত করে তা সমাধান করতে হবে।
এছাড়াও বৈঠকে সীসা দূষণ পর্যবেক্ষণে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ব্যাটারি ও রিসাইক্লিং শিল্পে সীসা দূষণ সংক্রান্ত বর্জ্য মোকাবিলায় সম্প্রসারিত উৎপাদক দায়িত্ব (EPR) প্রয়োগ করা হবে।
সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালানো হবে এবং দূষণের উৎসগুলো শনাক্ত করার জন্য কার্যক্রম নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে আরও ল্যাব সুবিধা তৈরি করতে একটি ছোট ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবে।
বৈঠকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, এডিবি, পিওর আর্থ বাংলাদেশ এবং জাতীয় সংগঠন যেমন ইএসডিও, বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাকিউমুলেটর ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়াম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।