পরিবেশ রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ একান্ত জরুরি
জলবায়ু পরিবর্তনে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপদাহ। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা দুষছেন মানুষের সৃষ্ট বিপর্যয়কে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পরিবেশের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বৃক্ষ নিধন, জলাশয় ভরাট থেকে বিরত থাকতে হবে।
বুধবার খুলনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সিটি ল কলেজ মিলনায়তনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব-উপকূলীয় অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা ও সকল মানুষের সুপেয় পানির অধিকার নিশ্চিতকরণে নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক এ সভায় আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার কমাতে হবে। নদীনালা, খাল-বিলে শিল্প ও পয়োবর্জ্য ফেলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। শিল্পকারখানায় উৎপাদিত বর্জ্যকে উৎপাদনশীল উপকরণে পরিণত করতে হবে।
পরিকল্পিত নগরায়ণ করতে হবে। দেশের সর্বত্র বেশি করে বনজ, ফলদ বৃক্ষরাজি সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করে তুলতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নারীনেত্রী শামীমা সুলতানা শীলু। প্রধান আলোচক ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার।
বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহসিন, ওয়ার্কার্স পার্টি মহানগর কমিটির সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, সিপিবি মহানগর কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাছুদ মাহমুদ, দলিতের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার দাস,
খুলনা পোলট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব সোহরাব হোসেন, গ্লোবাল খুলনার সভাপতি শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, সেফের সমন্বয়কারী আসাদ মিরণ, রূপসার নির্বাহী পরিচালক হিরণ্ময় মণ্ডল, স্কেপের চেয়ারম্যান শেখ মো. টুটুল, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, আফরোজা জেসমিন বিথী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পরিবেশদূষণের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে দেশের প্রত্যেক জেলায় একটি করে পরিবেশ আদালত স্থাপন করতে হবে। অবৈধ পলিথিন ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধে সারাদেশে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে অভিযান জোরদার করতে হবে।
সভায় পরিবেশ সুরক্ষার জন্য ‘জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ সুরক্ষায় নাগরিক কমিটি’ গঠন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে মাছুদ মাহমুদকে আহ্বায়ক, স্বপন কুমার দাশ, আসাদ মিরণ ও হিরণ্ময় মণ্ডল যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শামীমা সুলতানা শীলুকে সদস্য সচিব করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।