পরিবেশ রক্ষায় শীতলক্ষ্যা দূষণমুক্তকরণের ওপর জোর দিতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করা সহজ নয় বলে মনে করছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তাই শীতলক্ষ্যা উদ্ধারে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি প্রতি জেলায় একটি করে নদী সম্পূর্ণ দখল ও দূষণমুক্ত করার কথা জানান উপদেষ্টা। নদী রক্ষায় আইনের কঠোর প্রয়োগের কথাও বলছেন তিনি।
রাজধানী ঢাকার প্রায় দুই কোটি মানুষের পয়ঃবর্জ্য, কলকারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য মিশছে এ নদীতে। যার ৪০ ভাগই সরাসরি মিশছে নদীর পানিতে। যে কারণে বুড়িগঙ্গার পানিতে অক্সিজেন প্রায় শূন্যের কোটায়।
বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি সেসব। মানা হচ্ছে না আদালতের নির্দেশনা। এ মুহূর্তে বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করা অনেকটা অসম্ভব বলে মনে করছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করা অত সহজ নয়। সকলেই ঢাকা শহরের পরিবেশ রক্ষায় বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্তকরণের ওপর জোর দিলেও বাস্তবিকভাবে শীতলক্ষ্যাকে টার্গেট করলে ভালো।’
ঢাকার আশপাশের নদ-নদীগুলোর মধ্যে এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শীতলক্ষ্যার ওপর। নদীটি আগামী প্রজন্মের কাছে দূষণমুক্ত হিসেবে হিসেবে পরিচিতি পাবে। পাশাপাশি প্রতি জেলায় একটি করে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে বলেও জানান বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, সমন্বিত কর্ম উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের সব জেলায় একটি করে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করলে খরচ কমবে। সেই সঙ্গে একটা ওনারশিপেরও বিষয় থাকবে। এতে করে কাজটা সহজ ও টেকসই হবে।
দেশের সব নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগ শুরু হবে বলেও জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।