পরিবেশ রক্ষায় বন্ধ করতে হবে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটির ব্যবহার
ইটভাটার দূষণ নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ইটভাটা বন্ধকরণ এবং প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার রোধে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকরা।
সভায় পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইটভাটায় কৃষিজমির মাটির ব্যবহার, কৃষি জমি বিনষ্টকরণ বন্ধ করতে হবে। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে গাছপালা কেটে কাঠ পোড়ানো বন্ধসহ অবৈধ ও পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এসময় তিনি সরকার ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ সকল সরকারি কাজে ১০০ ভাগ পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার এবং মোড়ক বাজারজাতকরণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন পরিচালিত নিয়মিত এনফোর্সমেন্ট ও মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কঠিন বর্জ্য সুব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে প্রণীত তিন বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়াও সভায় অবৈধ ইটভাটা ও প্লাস্টিক, পলিথিন বন্ধে কার্যকর উপায় গ্রহণ বিষয়ে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন উপস্থিত মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকগণ।
এসময় সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগী করাসহ বিদ্যমান কিছু সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানান তারা। ইটভাটার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান প্রতিপালনের অঙ্গীকার করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান।
সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও যুক্ত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ প্রমুখ।