পরিবেশ রক্ষায় ফাঁকা স্থানে গাছ লাগানোর নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
পরিবেশ সুরক্ষায় চিংড়িমহালের ফাঁকা স্থানে সবুজায়ন করার বা গাছ লাগাতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী। জাতীয় চিংড়িমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি। রবিবার সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা হয়। ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপার বিবেচনা করেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হয়।
এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অনুশাসন রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমনের ওপর প্রভাব কমাতে যেসব কাজ চলছে, ভূমি মন্ত্রণালয় সেগুলোর অন্যতম সহযোগী।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিজমি সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রক্রিয়াধীন আইন, ল্যান্ড জোনিং প্রকল্পসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই সময় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করে লবণাক্তপ্রবণ উপকূলীয় এলাকায় চিংড়িমহালে অবস্থিত প্রশস্ত ফাঁকা স্থানে উপযুক্ত উদ্ভিদ রোপণের জন্য বলেন। এ ছাড়া পানিনিষ্কাশনের সময় যেন চিংড়িমহালের কাছে বাঁধের ক্ষতিসাধন না হয়, এ ব্যাপারেও লক্ষ রাখার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, কক্সবাজার ও সাতক্ষীরা জেলার মাঠ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং চিংড়ি চাষ ও ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ দুপুরে সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান-সংক্রান্ত কমিটির ৭৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর এবং মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
হবিগঞ্জ, রাঙামাটি, মৌলভীবাজার ও নাটোরের জেলা প্রশাসকেরা সভায় নিজ নিজ জেলা থেকে ভার্চ্যুয়ালি সভায় যোগদান করেন।