পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন রিজওয়ানা
প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘প্লাস্টিক নিয়ে বাংলাদেশে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক ধরনের নীতি রয়েছে, আবার শিল্প মন্ত্রণালয় হাঁটছে একেবারেই ভিন্ন পথে। তারা ভিন্ন একটি নীতি করছে। সে নীতিতে পরিবেশ ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু ২০২৩ সাল পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে বহু প্রতিষ্ঠান আছে, আইনও আছে, কিন্তু প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাদা কোনো আইন নেই। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাদা আইন তৈরি করা হচ্ছে এবং প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার বেশির ভাগ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে উৎপাদনকারীদের উপর। বাংলাদেশে এই পন্থার কথা বলা হলেও আইনগত বাস্তবায়ন নেই।’
মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘প্লাস্টিক এবং পরিবেশ’ বিষয়ক একটি আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিশ্ব আরো একটি মডেল নিয়ে কাজ করছে এবং সফলতা পাচ্ছে তা হলো ভোক্তাদের আচরণে পরিবর্তন আনা।
আর প্লাস্টিক উৎপাদনকারীদেরও সমানভাবে আচরণ পরিবর্তনের এই দায়িত্বে অংশ গ্রহণ করতে হচ্ছে। জনসচেতনতা ও প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের ধারণাকে জনপ্রিয় করার পুরো দায়িত্ব উৎপাদনকারীদের।’
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্স (বিএসএ) এ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অ্যালায়েন্স সদস্যরা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, মাল্টি লেয়ার বা কয়েক ধাপের প্লাস্টিক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক, প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া পণ্যের খরচ না বাড়িয়ে কিভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো যায় সেই বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায়।
অ্যালায়েন্সের সদস্যদের মধ্যে আছে ব্র্যাক, প্রাণ-আরএফএল, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, পেপসিকো, ইন্টারকন্টিনেল্টালসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি।