পরিবেশ রক্ষায় পাঁচ জেলায় রোপণ করা হলো ৫১১টি গাছ
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ও বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় গ্রিন ফিউচার শিরোনামে দুই মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেয় জেসিআই ঢাকা ফাউন্ডারস ও লাইটশোর নেটওয়ার্ক।
১৪ নভেম্বর ২০২৪ জেসিআই ঢাকা ফাউন্ডারসের সঙ্গে যৌথভাবে মজার স্কুল মানিকনগর ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে গ্রিন ফিউচার প্রজেক্টের সমাপনী দিন ছিল, সঙ্গে ছিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ১২১ শিশুর অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক সেমিনার। এটি পরিচালনা করেন ফাউন্ডারসের প্রেসিডেন্ট নাহিদ হাসান, প্রোগ্রাম মডারেট করেন মজার স্কুল থেকে মেহেদি হাসান।
গ্রিন ফিউচার প্রজেক্টের আওতায় গত অক্টোবর থেকে ময়মনসিংহের মথবাড়িয়া হাইস্কুলে ৮৬টি গাছ, খুলনার বেদকাশী কলেজিয়েট স্কুলে ১৫০টি, মির্জাপুরের শ্রীপুর বৈরাগীর চালা উচ্চবিদ্যালয়ে ৬০টি, গাজীপুরের হাজী জমির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ে ৭০টি, ভোলা জেলার মজার স্কুলের মনপুরা ক্যাম্পাসে ১৩০টি ও মজার স্কুলের মানিকনগরের ক্যাম্পাসে ১৫টি গাছ রোপণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ফাউন্ডারসের ভিপি সুলতানা রাজিয়া, ফাউন্ডারসের ভাইস প্রেসিডেন্ট তালুকদার সাব্বির আহমেদ ও মজার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ান আরিফ।
মজার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমার জন্য বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানটি একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল। জলবায়ু নিয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি, আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় ও অক্সিজেন সরবরাহ করতে গাছের গুরুত্ব।
আমি নিজেও একটি গাছ রোপণ করলাম এবং আমার মনে হচ্ছে, আমি আমাদের পরিবেশের জন্য একটি ইতিবাচক অবদান রাখতে পেরেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো কীভাবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে, সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেছি।’
জেসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘শুধু বৃক্ষরোপণই আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। আমরা বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি শিশুদেরকে কীভাবে আরও উৎসাহ দেওয়া যায় এবং গাছের পরিচর্যা ও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে পারি, সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেন এবং বৃক্ষরোপণে আরও উৎসাহ প্রদান করেন।’
মজার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ান আরিফ বলেন, ‘আজকের বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানটি ছিল আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি অর্থবহ পদক্ষেপ। শিশুদের এ ধরনের আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝা ও রাখতে তাদের ভূমিকা দেখতে ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক।
জেসিআই ঢাকা ফাউন্ডারস আর মজার ইশকুল একসঙ্গে শুধু বৃক্ষরোপণ করেনি, আমাদের শিশুদের জন্য একটি বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র হলেও ভূমিকা রাখছে।’
ময়মনসিংহের স্বপ্নবিলাশ অ্যাসোসিয়েশন, গাজীপুরে লাল সবুজ সোসাইটি, খুলনায় আলোকিত করি এবং ঢাকা ও মনপুরায় মজার স্কুল লোকাল পার্টনার হিসেবে সব ধরনের সহযোগিতা করে গ্রিন ফিউচার প্রকল্পে।
জেসিআই ঢাকা ফাউন্ডারস ভবিষ্যতে আরও সচেতনতা ও বৃক্ষরোপণ উদ্যোগের মাধ্যমে একটি সবুজ ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।