পরিবেশ রক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ
নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দিতে বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বরিশালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পরিবেশকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে এই কর্মসূচি হয়।
এর আয়োজন করেছে যৌথভাবে প্রান্তজন, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট, ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট।
বক্তারা বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উচিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যেমন সৌর, বায়ু এবং অন্যান্য কম-কার্বন প্রযুক্তিতে আরও বিনিয়োগ করা। পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজের মতো তথাকথিত ক্লিন এনার্জির নামে ভুয়া প্রযুক্তির প্রকল্পগুলো থেকে সরে আসা।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যে প্রযুক্তির জন্য তহবিল বরাদ্দ করছে তা বাস্তবে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকর নয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নির্ভরযোগ্য ও টেকসই সমাধানের জন্য রিনিউয়েবল এনার্জিতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাংকের বর্তমান বিনিয়োগ নীতিমালার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, যেখানে কিছু ক্ষেত্রে এখনো পুরানো এবং অকার্যকর প্রযুক্তির জন্য তহবিল বরাদ্দ করা আছে যা জলবায়ু পরিবর্তনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক নয়।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বর্তমান নীতি অনুসারে তারা আর কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে তারপরেও তারা রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট এবং সিদ্ধিরগঞ্জ ৩৩৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে।
বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এমন কিছু প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে যেগুলোর প্রভাব অস্বচ্ছ এবং কার্যকারিতা প্রমাণিত নয় যেমন এনার্জি মিক্স এবং কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং আইএমএফের উচিত জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।
বিশ্বব্যাংকের প্রতি বক্তারা আহবান জানান, যেন তারা তাদের বিনিয়োগ নীতি পুনর্বিবেচনা করে এবং বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে এসময় উপস্থিত ছিলেন— ফোরাম অন ইকোলজি এন্ড ডেভলপমেন্ট বরিশালের সদস্য শুভংকর চক্রবর্তী, ফোরাম অন ইকোলজি এন্ড ডেভলপমেন্টের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সুভাষ দাস, প্রান্তজনের প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল ইসলাম শাহজাদা, ফোরাম অন ইকোলজি এন্ড ডেভলপমেন্ট সদস্য খোরশেদ আলম প্রমুখ।