পরিবেশ রক্ষায় দেশজুড়ে ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমানোর ওপর জোর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের
ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমানোর পাশাপাশি রিসাইক্লিং শিল্পকে নিয়মিত ও উৎসাহিত দিতে চান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। দেশব্যাপী একটি ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে ‘ফরমাল ই-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা বিধিমালা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে সহায়তা এবং পরামর্শ দেওয়ারও আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
রিজওয়ানা নির্মাতাদের টেকসই ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দায়িত্বশীল উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র সাময়িক ট্রেনডিংয়ের কারণে ইলেকট্রনিক পণ্য কম সময়ের মধ্যে বাতিল না করার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করছি।
সরকার ই-ওয়েস্ট বিধিমালা ২০২১ বাস্তবায়ন করবে, যা ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইলেকট্রনিক বর্জ্য কমানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে এবং রিসাইক্লিং শিল্পকে নিয়মিত ও উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দেশব্যাপী একটি ব্যাপক ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
সরকার, বেসরকারি খাত ও সাধারণ নাগরিকদের এ বিষয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত বলে মত দিয়ে রিজওয়ানা বলেন, ‘অনানুষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিকর বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী, ডব্লিউইইই সোসাইটি-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির, বুয়েটের রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহিনুর ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে নীতিনির্ধারক, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং শিল্প উদ্যোক্তারা ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া, যেমন উন্মুক্ত স্থানে পোড়ানোর মাধ্যমে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কারণে সৃষ্ট দূষণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বুয়েটের শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম।