পরিবেশ দূষণে জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে হবে
আজ বুধবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ট্যানারি তার ইটিপি বন্ধ রাখলে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভ হয়। কিন্তু ইটিপি বন্ধ করে দূষণের দায়ে তাদের জরিমানা হচ্ছে ২০ হাজার টাকা।
তাই তারা জরিমানা দেওয়ার সুযোগটি নেবে এটাই স্বাভাবিক। অপরাধের মাত্রার সঙ্গে জরিমানার পরিমাণের সম্পর্ক থাকতে হবে। জরিমানার বিষয়টি সংশোধন করা হবে।
এ ছাড়া কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পরিবেশ দূষণের দায়ে সরাসরি মামলা করার সুযোগ দিয়ে আইনের সংশোধন আনা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রকল্প থেকে দূষণের মাত্রা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। বিদ্যুত ও জ্বালানির নতুন যে মহাপরিকল্পনা হচ্ছে সেখানে এ বিষয়ে তেমন কিছু উল্লেখ নেই।
বিভিন্ন দেশ যারা এখানে বিনিয়োগ করছে তারা তাদের দেশের মানমাত্রা অনুসরণ করছে, তারা বাড়তি ছাড় চাইছে। তিনি বলেন, তারা এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারা পরিবেশের দিকটা দেখবেন।
তাদের সুপারিশ হলো, প্রকল্পে নিঃসরণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী দেশের যে মানমাত্রা সেটা এবং বাংলাদেশের আইন বিনিয়োগকারীদের বিবেচনায় নিতে হবে।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্লক ইট তৈরিতে ভাটা মালিকদের সুযোগ বাাড়ানো, ব্লক ইট ব্যবহারের সুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি নির্মাণ কাজে শতভাগ ব্লক ইটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি।
সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, রেজাউল করিম এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশ নেন।