পরিবেশ ঠিক রেখে উন্নয়ন করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ বিষয়ক সামাজিক আন্দোলনের নেতারা।
শনিবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের (বেন) যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক কার্যকারিতা: চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাপার সহ-সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক। সঞ্চালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ডা. মো. আব্দুল মতিন, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ, বাপার নগরায়ন ও নগর সুশাসন বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি সালমা এ শাফি, আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও পরিবেশ বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বলেন, যারা রাজনীতিবিদ তারা যদি দেশের পরিবেশ নিয়ে না ভাবেন তাহলে পরিবেশ আন্দোলনকারীদের আন্দোলনে খুব বেশি ভালো ফল আসবে না। আমাদের পরিবেশ ঠিক রেখে উন্নয়ন করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তা না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মুখে পড়তে হবে। প্রত্যেকের উচিত আমাদের সন্তানদের জন্য পরিবেশকে সুস্থ ও সুন্দর রেখে যাওয়া।
ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ২০ বছরের আন্দোলনে বাপার সফলতা ও বিফলতা কী? সেই বিচারে বাপার আন্দোলনের অনেক সফলতা রয়েছে।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, সমাজে একটা গোষ্ঠী আছে যারা পুঁজি ও মুনাফার প্রতি আসক্ত। তারা পরিবেশকে কোনো মতেই পরোয়া করে না, যার ফলে দ্বন্দ্বটা সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশের ক্ষমতা কাঠামোতে অসৎ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের দ্বারা প্রভাবিত। সুতরাং এটা না ভেঙে পরিবেশ ঠিক রাখা যাবে না।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাপার কাছে দেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, বাপা পরিবেশ আন্দোলন ও সংরক্ষণের মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে। পরিবেশকে বিনষ্ট করে নয়, পরিবেশকে সংরক্ষণ করেই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, এলাকাভিত্তিক পরিবেশের যে সমস্যা রয়েছে, সে সমস্যগুলো স্থানীয়ভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, স্থানীয়ভাবে পরিবেশের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরাটাই এখন বড় কাজ। তথ্য-উপাত্ত ও বিকল্পগুলো যদি রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন স্থানে তুলে ধরে তাহলে স্থানীয় মানুষকে আরও পরিবেশের কাজে সম্পৃক্ত করা সম্ভব।
আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইতোমধ্যে অর্জিত সাফল্যসমূহ বিবেচনা করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারিত করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়।