25 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
রাত ৮:৩৪ | ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশ উন্নয়নে পাহাড়ে ১০ হাজার হেক্টর ভূমিতে হবে ‘পাড়াবন’
পরিবেশ রক্ষা পরিবেশগত সমস্যা

পরিবেশ উন্নয়নে পাহাড়ে ১০ হাজার হেক্টর ভূমিতে হবে ‘পাড়াবন’

পরিবেশ উন্নয়নে পাহাড়ে ১০ হাজার হেক্টর ভূমিতে হবে ‘পাড়াবন’

স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাড়াবন সৃজনের মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন এবং পানির উৎস সংরক্ষণে নতুন করে ৬০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করবে দাতা সংস্থা ‘ইউএসএইড।’

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বান্দরবানে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএসএইড-এর মিশন পরিচালক বেরিক ব্রাউন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ৪ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা দেবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি। প্রকল্পের আওতায় আরো ১০ হাজার হেক্টর ভূমিতে পাড়াবন সৃজন করা হবে।

মিশন পরিচালক বেরিক ব্রাউন বলেন, ‘সামাজিক পাড়াবন-ভিসিএফ’ তৈরির জন্যে বন বিভাগ, প্রশাসন, সার্কেল চিফ এবং নারী ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ সকল স্টেক হোল্ডারকে সম্পৃক্ত করা হবে।



২০১৩-২০১৯ মেয়াদী প্রথম পর্যায়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে বেরিক বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বনজীবীদের জন্যে বিকল্প কর্মসংস্থান এবং পাড়াবন-কে আইনী কাঠামো প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করা হবে। এ ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলা পরিষদ সমুহ এবং জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে সাথে নিয়ে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা হবে।

ইউএনডিপি’র এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা এবং ইউএসএইড কর্মকর্তাগণ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বান্দরবান শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে পাড়াবন সৃজন বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্যানেল আলোচনা শেষে বেরিক ব্রাউন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় এই প্যানেল আলোচনায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ, হেডম্যান (মৈৗজা প্রধান), প্রথাগত নেতৃবৃন্দ, নারী প্রতিনিধিবৃন্দ, সাংবাদিক এবং ইউএনডিপি ও ইউএসএইড কর্মকর্তাগণ এতে উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল আলোচনায় জানানো হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পানির উৎসগুলো যাতে শুকিয়ে যেতে না পারে- সেজন্য বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ১১৭টি পাড়ায় ‘সামাজিক পাড়াবন-ভিসিএফ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ সব পাড়াবন সৃজনের মাধ্যমে ৮ হাজার হেক্টর ভূমিকে বনায়নের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।



উল্লেখ্য, প্রতিটি পাড়ায় বসবাসকারীদের জনসংখ্যা অনুযায়ী, বাঁশ, ছন, বৃক্ষের চাহিদা মেটানোর জন্যে পাড়া সংলগ্ন নির্ধারিত পরিমাণ খাস জমিতে পাড়াবাসী কর্তৃক সমবায় ভিত্তিতে বনায়ন সৃজন করে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভেজিটেশন সৃষ্টি করে পানির বিদ্যমান উৎসগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টার ফলই হচ্ছে ‘ভিলেজ কমিউনিটি ফরেস্ট বা পাড়াবন।’

পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ধারণাটি হাজার বছরের পুরোনো হলেও মানুষের লোভ, অসতর্কতা এবং নানা জটিলতার কারণে এই প্রচেষ্টাটি হারিয়ে যেতে বসে।

ফলে বেপরোয়া বন উজাড়ের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পানির উৎসগুলো প্রায় শুকিয়ে গিয়ে মরুময় অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছিল পাহাড়ি জনপদগুলো।

অবস্থার নেবিাচক প্রভাব সম্পর্কে অবহিত হবার পর ইউএনডিপি ও ইউএসএইড-এর যৌথ উদ্যোগ ‘পাড়াবন’ সৃজনে পাহাড়ের জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত