20 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সকাল ৬:০৮ | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
পরিবেশবান্ধব নগরের ছাদকৃষি......
বাস্তুসংস্থান

পরিবেশবান্ধব নগরের ছাদকৃষি

অপরিকল্পিত শহরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে শহরের পরিবেশ দূষণ ক্রমাগত বাড়ছে। তাই শহরে বাড়ির ছাদ উপযুক্ত জায়গা যেখানে বাগান তৈরির মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে সেই সাথে বিশুদ্ধ বাতায়ন আর খাদ্যের নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে।শীতল হবে নাগরিক পরিবেশ, কমবে পরিবেশ দূষণ।

বর্তমানে শহরের বেশকিছু বাড়িতে ছাদকৃষি লক্ষ করা গেলেও একটা সময় পর তার অস্তিত্ব আর পাওয়া যায় না।এর জন্য প্রয়োজন বাগানের সঙ্গে পরিবেশ সম্পর্ক জ্ঞান আর সচেতনতা।গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে ছাদবাগান সংশ্লিষ্ট বাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা ১.০-১.২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত কমায়। এছাড়া ছাদবাগান এলাকায় কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমান ৭০ পিপিএম পর্যন্ত কমায়।

যদি শহরে ব্যাপকভাবে ছাদবাগান প্রসার করা যায়, তবে এটি কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য বায়ু দূষণকারী উপাদানের মাত্রা কমিয়ে শহরের পরিবেশ দূষণ কমাবে আর দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।

তবে ছাদকৃষির স্থায়িত্বতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বাগান সচেতনতা ও বাগানের সঙ্গে পরিবেশ সম্পর্ক জ্ঞান।এজন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাদবাগানভিত্তিক ইকো-সেন্টার স্থাপন করেছে। এই ইকো সেন্টার পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে যেমন: ছাদে বাগানকরণ, সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহার, কম্পোস্টিং, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, কার্বন শোষণ ও বায়ুদূষণ কমানো ইত্যাদি। ছাদবাগান আগ্রহীদের নিয়মিত পরামর্শ প্রদান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে এই ইকো সেন্টারে।

কীভাবে ছাদবাগান করবেন তার কতগুলো পর্যায় ক্রমিক ধাপ রয়েছে, যেমন প্রকৌশলী দ্বারা ছাদের সুরক্ষা পরীক্ষা করা, প্রকৌশলীর মতে ছাদবাগানের ওজন বিতরণ, ছাদবাগানের লে-আউট, ছাদে সেচ ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, গাছ রোপণ কাঠামো ও মাধ্যম, ছাদবাগানের নিরাপত্তা, বাগানের প্রয়োজনীয় ছোটো যন্ত্রপাতি ক্রয়, গাছ, বীজ, সার, চারা গাছ ইত্যাদি। সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন, তাহলো ছাদবাগানের রক্ষণাবেক্ষণ। ছাদবাগান করতে হলে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিপ্রযুক্তি যেমন, উপযোগী ফসল ও জাত, মাটির পুষ্টি ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা, শস্য বহুমুখীকরণ প্রভৃতি জানতে হবে। এছাড়া যে বিষয়গুলো খুব বেশি জরুরি, তা হলো— ছাদবাগান টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে বেশ কিছু ব্যবহূত কৌশল নিতে হবে। যেমন: গাছ উত্পাদন মাধ্যম, কেঁচো সার, বায়োচার, ভার্মিকোলাইট, পারলাইট ও জিওলাইট, হিউমিক এসিড ও নারিকেলের ছোবড়া, বিশেষ সেচ/ড্রিপ সেচ, বায়োস্টিমুলেটর, অক্সিন, জিব্রেলিন, স্যালিসাইলিক এসিড সম্পর্কে কিছুটা ধারণা অর্জন করা প্রয়োজন।

জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৮ তে বিশেষায়িত কৃষির আওতায় ছাদকৃষির প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। ছাদবাগান স্থাপনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ও আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা বেশ জরুরি। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ছাদবাগান সম্প্রসারণের কৌশল নির্ধারণ করাও প্রয়োজন। আর্থিক ও সামাজিক চাহিদা বিশ্লেষণ করে ছাদবাগান প্রকল্প নেয়া উচিত

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত