রাস্তায় কিছু থাক বা না থাক পলিলিন থাকবেই। প্রতিটির পন্যের জন্য পলিথিন ব্যবহার যেন বাধ্যতামূলক। আর এসকল সুযোগ কাজে লাগিয়েই চলছে পলিথিনের উৎপাদন।
নিষিদ্ধ হওয়ার পরও সমগ্র দেশে চলছে পলিথিনের বিশাল বাণিজ্য। রাজধানীর পুরান ঢাকায় গড়ে উঠেছে ৩শ’র কাছাকছি পলিথিনের কারখানা। নিষিদ্ধ এ পণ্যের কারখানা দেয়া, তৈরি ও বাজারজাত ঘিরে শক্তিশালি সিন্ডিকেট রয়েছে সক্রিয় ।
স্থানীয় প্রভাবশালী মস্তান, রাজনৈতিক নেতা, কথিত সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পরিবেশ অধিদফতরের অসাধু কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই কারখানাগুলোয় উৎপাদনে চলছে পলিথিনের।
২০০২ সালের ৮ এপ্রিল পরিবেশ অধিদফতরের এক প্রজ্ঞাপনে, শর্তসাপেক্ষে পলিথিনের সব ধরনের শপিং ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাত, বিক্রি, প্রদর্শন, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। তখন এর সফল প্রয়োগ হলেও গত কয়েক বছর ধরে পলিথিনের ব্যাগে বাজার হয়ে গেছে সয়লাব। রাজধানীসহ দেশের সকল স্থানে পলিথিনের ছড়াছড়ি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন গলিতে ভবনের নিচে উপরে ছলছে পলিথিনের উৎপাদন। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ পলিথিন উৎপাদনে যেন সরকারী অনুমতি আছে এভাবে উৎপান হচ্ছে।
বেশিরভাগ কারখানা পুরান ঢাকায় গড়ে উঠলেও লালবাগ, কামালবাগ, শহীদনগর, দেবীদাসঘাট, খাজেদেওয়ান, কিল্লারমোড়, বেগমবাজার, চকবাজার, কামরাঙ্গীরচর, বড়কাটারা, ছোটকাটারা, রহমতগঞ্জ, ফরিদাবাদ, মিটফোর্ড এলাকার বিভিন্ন আবাসিক ভবনে অবৈধভাবে প্রায় তিনশ’ পলিথিনের কারখানা গড়ে উঠেছে।
পলিথিন উৎপাদনের মেশিনগুলো পাওয়া যায় দেশেই আর দাম ৫-৬ লাখ টাকা। ফুলসেট মেশিনের দাম প্রায় ১৪ লাখ। কিন্তু মেশিনগুলো ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুত লাইন থাকাটা বাধ্যতামূলক।
এখন মনে হচ্ছে পলিথিন বন্ধ না করে পলিথিন উৎপাদনের মেশিন অবৈধ ঘোষণা করার প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় পলিথিন উৎপাদনের মেশিন অবৈধ ঘোষণা করলে কি পলিথিন উৎপাদন বন্ধ হবে নাকি আবারো মেশিন ক্রয়-বিক্রয় হবে।