মোঃ রাজিবুল ইসলাম (রাজিব): কঠোর পরিশ্রমে মাথার ঘাম পায়ে পেলে মাঠে স্বর্ণ ফলায় কৃষক। এবছর ধানের দাম থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকার কৃষকের মুখে হাসির পরিবর্তে কান্না দেখা যাচ্ছে। যতদূর চোখ যায় সাদা ফসলের মাঠ। এমনিতেই করোনাভাইরাস মহামারিতে মানুষ আজ আতঙ্কিত। অন্যদিকে কৃষক শ্রমিকের সংকট হওয়ায় কষ্টের ফসল গোলায় তোলা নিয়ে কৃষক বেশ চিন্তিত। তার ওপর ব্লাস্ট রোগের থাবা। তাই স্বর্ণ নয় ক্ষারে পরিণত হয়েছে কৃষকের কষ্টের ফসল।
এবছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ধানের ব্লাস্ট রোগ। দূর থেকে দেখে মনে হয় ধান পেকে গেছে কিন্তু কাছে গেলেই বোঝা যায় আসলে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ধান। ধান দেখো গেলেও মূলত ধানে ভিতর কোন চাল নেই। শুধুই ধানের চিটা।
এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাদের স্বপ্নের ফসল গোলায় তোলা শুরু করেছে। অন্যদিকে যাদের ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত তাদের চোখে ঘুম নেই। দিশেহারা অবস্থায় দিন-রাত্রি যাপন করছে তারা। ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ধানের কৃষকের মন ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়। ব্লাস্ট রোগে মাঠের পর মাঠের ধানের শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে।
ধানকে ব্লাস্ট রোগ থেকে মুক্ত করার জন্য কৃষকসহ স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো চেষ্টাই যে কাজে আসছে না। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমেও ফল পাচ্ছে না কৃষক।
এমন অবস্থা কুড়িগ্রামের চিলমারি, ময়মনসিংহের ভালুকা ও নান্দাইল, যশোরের সদর ও শার্শা, সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, কুমিল্লার লাকসাম, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, গাজীপুরের শ্রীপুর, শ্রীমঙ্গল উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার হেক্টর জমির চালধরা ধান আজ শুধু চিটায় পরিণত হয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এমনিতেই কৃষক ধান ঘরে তোলায় নিয়ে বেশ চিন্তিত। আর যাদের ধান ব্লাস্ট রোগের কারণে চিটায় পরিণত হয়েছে তাদের দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই।