দূষণ তদারকির জন্য খালপাড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে: মেয়র
খালের পাড়ে ময়লা ফেলা হচ্ছে কিনা তার তদারকির জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে খাল পরিদর্শন শেষে এ ঘোষণা দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এ সময় খাল দূষণকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা খালগুলো পরিষ্কার করার পর আর কেউ ময়লা ফেলতে পারবেন না। খালের পাড়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেব।
খালে ময়লা ফেললেই নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। দখলদাররা নিজ দায়িত্বে খাল দখলমুক্ত করে দেবেন। আমরা যখন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব, তখন কিন্তু আর সময় পাবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পর্যায়ক্রমে একের পর এক অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এর আগে আমরা লাউতলা খাল ও রামচন্দ্রপুর খাল উদ্ধার করেছি।
দীর্ঘ ৪০ বছর পর সূতিভোলা খাল উদ্ধার করেছি। গত সপ্তাহে মোহাম্মদপুরে জাকের ডেইরি ফার্মের অবৈধ দখল থেকে ডিএনসিসির জমি উদ্ধার করেছি। নগরের অন্যান্য খালগুলো যেভাবে সংস্কার করা হয়েছে, এখানেও তাই করা হবে।’
মেয়র বলেন, ঢাকার যেসব খাল এভাবে দখল করা হয়েছিল, সবগুলোই কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা উদ্ধার করেছি। খাল উদ্ধারের পর খালের পাশে ওয়াকওয়ে করা হবে, সাইকেল লেন করা হবে। স্থায়ীভাবে এসবের সমাধান করা হবে।
এলাকাবাসীর উদ্দেশে সিটি মেয়র বলেন, খাল পরিষ্কার থাকলে রোগ-বালাই কম হবে। মশার প্রজনন কমে যাবে। দুর্গন্ধ থাকবে না। আপনারাই ভালো থাকবেন। উন্নত দেশে খাল সামনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করা হয়।
আর আমাদের দেশের উল্টো চিত্র। আমাদের দেশে সবাই খাল পেছনে রেখে বাড়ি নির্মাণ করি। পরে বাড়ির পেছনে খালকে ময়লার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করি। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে পরিদর্শনে এসে দেখলাম খালে অনেক বাঁশের সাঁকো, বিদ্যুতের সংযোগ ও সুয়ারেজের সংযোগ। সবাইকে অনুরোধ করছি এগুলো দ্রুত সরিয়ে নেবেন, না হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি উপস্থিত ছিলেন।