নদী দূষণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের ৩ সিটি করপোরেশন ও ওয়াসাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। দিনে শিল্প ও পয়োবর্জ্যসহ প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বিষাক্ত ও কঠিন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর ৭৬০টি পয়েন্ট দিয়ে প্রাণ-প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর এসব বর্জ্য মিশে যাচ্ছে পানিতে।
বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা, তুরাগসহ ঢাকার চারপাশের নদী দূষণের ৬০ ভাগের জন্য দায়ী ওয়াশিং ও ডাইং কারখানার অপরিশোধিত বিষাক্ত বর্জ্য। এতে ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামসহ ৭ ধরণের রাসায়নিক সরাসরি পড়ছে নদীতে। এতে পানিতে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে সুর্যের আলো, কমছে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা। বিপন্ন হচ্ছে জলজ প্রাণী।
সরেজমিন পরিদর্শন ও জিপিএস ব্যবহার করে চালানো সমীক্ষায় দেখা গেছে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও টঙ্গী খালের ৪০০ পয়েন্ট দিয়ে শিল্প ও সিটি করপোরেশনের কঠিন বর্জ্য এবং ৩৬০টি পয়েন্ট দিয়ে ওয়াসার পয়োবর্জ্য পড়ছে নদীতে। দূষণ বন্ধে তাই এসব প্রতিষ্ঠানের উদাসিনতাকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট বলছে, শিল্প-পয়োবর্জ্য ছাড়াও নদী দূষণে জন্য দায়ী পলিথিন থেকে শুরু করে নৌযান, হাসপাতাল, ডকইয়ার্ড ও ইটভাটার বর্জ্য। ঢাকার চারপাশের নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনার কথা বলা হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছেন না পরিবেশবিদরা।
ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে দুই সিটি করপোরেশন। পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে ওয়াসা। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ঢাকার শতকরা ৭০ শতাংশ কারখানাই বর্জ্য শোধনে ইটিপি ব্যবহার করছে না। সূত্র: independent24