সাম্প্রতিক দাবানল গুলোর জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নই দায়ী বলে দাবি গবেষকদের। তারা বলছেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় সর্বশেষ দাবানলের পেছনেও রয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাব। একটি জরিপের ফলে এরকমটাই দাবি করছেন তাঁরা। গবেষকদের বলছেন, বনে আগুন লাগার পেছনে বিশ্ব উষ্ণায়নের স্পষ্ট এবং ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তারা বলছেন ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের সঙ্গে এর সর্ম্পক রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল চলছে আগস্ট থেকে। সকল তথ্যানুযায়ী গত ১৮ বছরের মধ্যে এটিই সব চেয়ে ভয়াবহ দাবানল। গবেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমি ব্যবস্থাপনাও এর পেছনে দায়ী। ক্যালিফোর্নিয়ার এই দাবানলে কম পক্ষে ৩০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং ঘরবাড়ি হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের ব্যাপারটি এখন পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক ফুটবলে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দোষারোপ করেছেন। কিন্তু তার অভিযোগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবেশ বিপর্যয়ের চেয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপরেই বেশি জোর দিয়েছেন।
তবে যে যাই বলুক বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা ও পর্যালোচনায় এসব দাবানলকে উষ্ণতাবৃদ্ধির বিরূপ ফল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে অষ্ট্রেলিয়ায় ২০১৯-২০২০ সালের দাবানলের জন্যও একই কথা বলেছেন তারা।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, দাবানলের ঘনত্ব ও তীব্রতা বাড়ার পেছনে উচ্চ তাপমাত্রা, কম আর্দ্রতা, কম বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের সঙ্গে উচ্চতর সংমিশ্রণ।
নতুন এই পর্যালোচনাটি তৈরি করা হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রকাশিত প্রায় ১০০টি গবেষণার আলোকে । আর তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের ফলে ক্রমবর্ধমান উষ্ণ এবং শুষ্কাবস্থার ওপর জলবায়ুর প্রাকৃতিক পরিবর্তনশীলতা চেপে বসলে চরম অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
সাম্প্রতিক এই গবেষণাটির পরিচালক যুক্তরাজ্যের ইস্ট অ্যাঙ্গিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথু জোন্স জানান, গত দশকগুলোর চেয়ে চলতি দশকে আগুন লাগার প্রবণতা ৮ থেকে ১০ গুণ বেড়ে গেছে। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবানলের জন্য তার অনুসৃত নীতিকে দায়ী মনে করেন না। তার মতে, দাবানল বনের মধ্যেই তৈরি হয়। এতে মানুষের কোনো হাত নেই। সূত্র: বিবিসি