দক্ষ বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গড়ে তুলতে দ্বিতীয় জাতীয় বন জরিপ করা হচ্ছে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দক্ষ বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গড়ে তুলতে ও বনজ সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য দ্বিতীয় জাতীয় বন জরিপ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংগৃহীত তথ্য আমাদের বনাচ্ছাদন, জীববৈচিত্র্য পরিবর্তন, নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন ও জাতীয় কৌশল গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই ডাটাবেসটি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও আন্তর্জাতিক ঘোষণার পাশাপাশি বনজ সম্পদের আরও ভালো ব্যবস্থাপনার অধীনে আমাদের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে সহায়ক হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় বন জরিপের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বন ইনভেন্টরি বাংলাদেশের জাতীয় বন মনিটরিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠার জন্য অবিচ্ছেদ্য এবং বন জৈববস্তুপুঞ্জ এবং কার্বন ইনভেন্টরির প্রাথমিক তথ্য উৎস হবে।
কাঠের পরিমাণ ছাড়াও বন ইনভেন্টরি ব্যাপকভাবে অ-কাঠ বনজ পণ্য, মাটির বিশ্লেষণ এবং সাংস্কৃতিক দিকগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০১৬-২০১৯ সালে একটি সম্পূর্ণ জাতীয় বন ইনভেন্টরি পরিচালনা করেছে এবং প্রস্তাবিত দ্বিতীয় পর্বে প্রবণতা বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় এলাকা চিহ্নিত করবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়। এ সময় অনুষ্ঠানে তিনটি মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপ বন সংরক্ষক জাহিদ ইকবাল, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দলের প্রধান ড. ডিকি সিমোরাংকির এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বাংলাদেশের জাতীয় আর্থ-সামাজিক পরামর্শক ড. নিখিল চাকমা।