কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বিশাল আকৃতির একটি ডলফিন ভেসে এসেছে। ডলফিনটির কোনও নড়াচড়া না করায় সেটিকে মৃত বলে ধারণা করছেন স্থানীয় জেলেরা।
সোমবার সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া সাগরে এই ডলফিনটি দেখতে লোকজন ভিড় করেন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ বলছে এটি হাম্পব্যাক প্রজাতির ডলফিন ।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র সায়েন্টিফিক কর্মকর্তা ড. এহসানুল করিম বলেন, এটি ইন্দো-প্যাসিফিক বোতল নাক (হাম্পব্যাক) ডলফিন নামে পরিচিত।
এই প্রজাতিগুলো দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের সন্ধানে দলছুট হয়ে ডলফিনটি টেকনাফ উপকূলের কাছাকাছি এসেছে এবং আঘাত পেয়ে মারা গেছে।
তিনি বলেন, ৯-১০ ফুট উচ্চতার এই মাছটির ওজন ১৬০ কেজি হতে পারে। মূলত এই মাছগুলো ভারত এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্রান্তীয় জলে পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ সাধারণ বোতলজাতীয় ডলফিনের বিপরীতে, এই ডলফিনগুলো অগভীর, উপকূলীয় জল পছন্দ করে। ফলে এ মাছ আশপাশের অঞ্চলে দেখা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
স্থানীয় সাংবাদিক জসিম মাহমুদ বলেন, সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্রসৈকতে একটি মৃত ডলফিন দেখা যায়। এ সময় সেটি দেখতে লোকজন ভিড় করে। অনেককে আবার ছবি তুলতে দেখা গেছে।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ডলফিনটি সেখানে পড়েছিল। তবে আগের দিন সেখানে আরও একটি রক্তাক্ত প্রজাতির মাছ দেখে স্থানীয় জেলেরা, সেটিকে গভীর সাগরে দিয়ে আসে।
কক্সবাজারের পরিবেশ-বিষয়ক সংস্থা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী এম ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, এ সময়ে ডলফিন মারা যাওয়ার কথা না।
হয়তো পানি দূষণ অথবা জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা গেছে। এসব ডলফিন রক্ষার্থে জেলেদের সচেতনতা এবং পানির দূষণ কমানো দরকার।