জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে ঢাকায় জলবায়ু ক্যাম্পেইন
পৃথিবীজুড়ে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। এর অন্যতম কারণ অতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার।
যুদ্ধবিগ্রহের কারণে এ পরিস্থিতি প্রকট হয়েছে। তাই এর সম্প্রসারণ রুখে দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে একযোগে এশিয়ার ১২টি শহরের সঙ্গে ঢাকাতেও সূচনা হয়েছে ‘ডোন্ট গ্যাস এশিয়া’ ক্যাম্পেইন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ প্রচারের সূচনা উপলক্ষে মূকাভিনয় ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়াজুড়ে এ কর্মসূচির সমন্বয় করছে এশিয়া এনার্জি নেটওয়ার্ক এবং এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট ফর ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
ইকুইটি বিডি, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, বেলা, ব্রতী, ক্লিন, ফ্রেন্ডস অব দি আর্থ এশিয়া প্যাসিফিক, গ্লোবাল ল’থিংকারস সোসাইটি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের উদ্যোগে ঢাকায় ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে মূকাভিনয় প্রদর্শন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম অ্যাকশন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকেছে। তারা বিভিন্ন বছরকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, এরপর তারা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করবে না।
কিন্তু তারা আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নামে জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে অপূরণীয় ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানি যতদিন না বন্ধ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি থেকে মুক্তির পথ নেই।
বক্তারা বলেন, এশিয়ায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল, পাওয়ার প্লান্ট এবং পাইপলাইন সম্প্রসারণের জন্য বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
এগুলো এ অঞ্চলে জলবায়ু সংকট এবং জ্বালানি সংকট সমাধানের পরিবর্তে আরও সমস্যা তৈরি করবে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা সরকার, ব্যাংক এবং করপোরেশনের কাছে বার্তা দিচ্ছি—গ্যাস এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ান।
মানববন্ধনে সভাপ্রধান ছিলেন ব্রতী সংগঠনের প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশীদ। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, ফেস অব দি আর্থ এশিয়া প্যাসিফিকের প্রতিনিধি বারীশ হাসান চৌধুরী, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা প্রমুখ।