জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের দাবিতে ফরিদপুরে মানববন্ধন
জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন ফরিদপুরের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।
ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (এলএনজি) অর্থায়ন বন্ধ এবং এলএনজি আমদানি নির্ভরতা কমাতেও সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান তাদের।
তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি জলবায়ু ও জ্বালানি-সুরক্ষিত বাংলাদেশ দেখতে চান। পরিবেশের ক্ষতি করে এমন প্রকল্পগুলো বন্ধ এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ না করে টেকসই প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান বক্তারা।
দেশের ২৬টি জেলার তরুণ জলবায়ু কর্মীরা বিশ্বব্যাপী এই জলবায়ু ধর্মঘটের দাবিগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরে এ আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তব্য দেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের শাহরীন ইসলাম মাহিন, আবরার নাদিম ইতু, ইসরাত জাহান, রাজিব কাব্য, হামিম প্রমুখ। এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আলতাফ হোসেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক সজল বাড়ই ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক কাজী সবুজ।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ফরিদপুর জেলা সমন্বয়কারী শাহরীন ইসলাম মাহিন বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানিতে আমাদের নির্ভরতা কমানো যে কত জরুরি, সেটা বোঝার জন্য কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।
জলবায়ু দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করার এখনই সময়। আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এখনই আন্দোলন করতে হবে না হলে পরে সাঁতার কাটতে হবে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব আলতাফ হোসেন বলেন, ‘কিশোর ও তরুণদের সঙ্গে নিয়ে এই আন্দোলন আমাদেরকে আরও বাড়াতে হবে। সব বয়সের মানুষকে যুক্ত করতে হবে পরিবেশের আন্দোলনে।
এখনই সময়, আমাদের পরিবেশ বাঁচানোর।’ তিনি সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান এবং এর কার্যক্রমের বিস্তৃতির আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক সজল বাড়ই বলেন, ‘একটি দেশে আয়তনের ২৫ ভাগ বনভুমি থাকা দরকার, কিন্তু বাংলাদেশে ১৮ ভাগও নেই। আমাদের এখনই বেশি বেশি বনায়ন করা প্রয়োজন।
মানুষকে আরও সচেতন করতে হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সর্বোপরি বিশ্বব্যাপী এই কর্মসূচি আরও বাড়বে বলে আশা করি।’