জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ঢাকায় সাইকেল র্যালী
আজ ১৫ই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, সকাল ১০:৩০ টায় জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, আগারগাঁও বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ভবনের সামনে মানববন্ধন, সাইকেল র্যালী ও বিষয়ভিত্তিক মূকাভিনয় প্রদর্শিত হয়েছে।
ঢাকায় আয়োজিত উক্ত মানববন্ধন থেকে সারা দেশে আয়োজিত সকল মানববন্ধনের একসাথে উদ্ভোধন ঘোষণা করেন সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলাতানা কামাল এবং ধারনা বক্তব্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন ব্রতী’র নির্বাহি পরিচালক শারমিন মুরশিদ।
এছাড়া নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক এম মুস্তফা কামাল আকন্দ, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম টুববুস, গ্লোবাল ল’ থিংকারস সোসাইটি এর প্রেসিডেন্ট রাওমান স্মিতা, ইকুইটি বিডি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলাতানা কামাল কর্মসূচীর উদ্বোধন বক্তব্যে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরণের জীবস্ম জ্বালানি প্রকল্প থেকে পর্যায়ক্রমে বের হয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে ফিরে আসার কোন বিকল্প নেই।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর অসহযোগিতার ফলে এ ধরণের পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম থেকে বের হয়ে আসতে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এ সকল কর্মসূচীর মাধ্যমে আমরা নীতি নির্ধারকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
একইসাথে আসন্ন জাতীসংঘ সাধারণ সম্মেলন ও ইউএনএসজি ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সামিটে অংশ নিতে যাওয়া বিশ্বনেতাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জাানাচ্ছি।
ধারনা বক্তব্য তুলে ধরার সময় ব্রতী’র নির্বাহি পরিচালক শারমিন মুরশিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আজ সারাদেশ ব্যাপী জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছি।
এ আয়োজন শুধুমাত্র সমাবেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন কর্মসূচীর ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষদের অংশগ্রহণ আমাদের দাবির বিষয়গুলোকে আরো শক্তিশালী করবে। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বনেতাদের আশু পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানাচ্ছি।
উপস্থিত অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য জনাব এম এস সিদ্দিকী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যে দেশগুলো দায়ী তাদেরকে এ বিপর্যয় মোকাবেলায় যথাযথ দায়িত্ব নিতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বৈশ্বিক বিভিন্ন সম্মেলনে দায়সারা পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকরী ভূমিকা পালনে গড়িমসি করে বিশ্বকে আরো বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান, মোহাম্মদ এজাজ আমাদের এই কর্মসূচীতে সংহতি জানান ও তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি পরিকল্পনার মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের সিদ্ধান্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যে ধরণের প্রযুক্তিগত, কারিগরি ও অন্যান্য সক্ষমতা প্রয়োজন আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। তাই জ্বালানি নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি সবসময় বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।