জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টির সুপারিশ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংরক্ষণসহ নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠক নিয়ে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সব মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংরক্ষণসহ নতুন বনাঞ্চল সৃষ্টির ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে এই কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল আজ। বৈঠকে বন ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ, পরিবেশ, বায়ু, শব্দদূষণসহ বিভিন্ন দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে রবার সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। চট্টগ্রাম এলাকায় রবারবাগান ইজারা নিয়েও অনেকে রবার চাষ না করে হর্টিকালচার (বেষ্টনীর মধ্যে চাষাবাদ) করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, গত শতকের আশির দশকে পার্বত্য এলাকায় রবার চাষের জন্য ৪০ বছরের জন্য প্লট ইজারা দেওয়া শুরু হয়। তখন ইজারার জন্য ৭৫ হাজার টাকা দিতে হতো।
এখন ইজারা নবায়ন ফি বাড়িয়ে সাত লাখ টাকা করা হয়েছে। এটি কমানোর ব্যবস্থা নিতে বলেন কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার। তিনি রবারকে কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে রাবার বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে এটি বাড়ানো হয়েছে।
দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, আ স ম ফিরোজ, মো. শাহাব উদ্দিন, মো. আবদুল ওদুদ, তানভীর শাকিল, গালিবুর রহমান, এস এম আতাউল হক, মো. ছানুয়ার হোসেন ও আরমা দত্ত অংশ নেন। বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।