জলবায়ু রক্ষা ও বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জলবায়ু ধর্মঘট’
জলবায়ু রক্ষা ও সুরক্ষিত জ্বালানি ভবিষ্যতের দাবিতে ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট’ পালন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘জলবায়ুর সুবিচার সর্বপ্রাণের অধিকার’ স্লোগানে স্প্রিংটাইম ক্যাম্প এর সহযোগিতায় এক ঘণ্টার এ কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য দেশের তরুণদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতেই এ কর্মসূচির আয়োজন বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা।
এতে তারা পরিবেশের অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়ানো, জলবায়ু শরণার্থীদের টেকসই পুনর্বাসন, সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান ও উপকূলে টেকসই ব্লক-বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
কর্মসূচি থেকে বিশ্বনেতাদের প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি কমানোসহ কার্বনের নিঃসরণ শূন্যে নামানোর দাবিও তোলা হয়।
“বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও এই আধুনিক বিশ্বের শিল্পায়নের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের টেকসই কোনো সমাধান এখনও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর টেকসই উন্নয়নের লক্ষে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেছি।”
প্রতীকি ধর্মঘটে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আতা-ই-রাব্বি জানান, তার জন্ম জন্ম মূলত পাহাড়ে। পাহাড়ি পরিবেশেই বেড়ে ওঠা। সেখানেও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকটি তুলে ধরেন তিনি।
এ শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগে পাহাড়ের ঝিরিতে সুপেয় পানি পাওয়া যেত। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবং নির্বিচারে পাহাড়ের বৃক্ষনিধণের কারণে পাহাড়ে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যার কারণে গভীর নলকূপ স্থাপন করলেও পাহাড়ে ঠিকঠাক পানি পাওয়া যাচ্ছে না।’